জাতীয় প্রেস ক্লাবের কর্মশালা : শিশুদের আবৃত্তি শিক্ষায় মাতৃভাষাকে ভালোবাসার আহ্বান

আগের সংবাদ

সরেনি একটি কেমিক্যাল কারখানাও : অন্য ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা বাণিজ্য > বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৫০৮টি কেমিক্যাল কারখানা

পরের সংবাদ

ফেব্রুয়ারির আবেগঘন তরঙ্গেও ভাষাচর্চায় শুদ্ধতা ফিরুক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একুশে ফেব্রুয়ারির মহান প্রেরণায় প্রতি বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয় বইমেলা। বিগত ৭২ বছরে মেলার ব্যাপ্তি বেড়েছে। একাডেমির প্রাঙ্গণ থেকে বইমেলা সোহরাওয়ার্দীর প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বাঙালির এক অপার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বইমেলা। কিন্তু এও ঠিক, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে সংস্কৃতির সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়। কিন্তু সে ভিন্ন আরেক বিষয়। আমরা দেখছি, মেলা চলাকালে প্রতিদিনই বিদগ্ধ কবি, সাহিত্যিক, গবেষকসহ বিভিন্ন মধ্যমে নতুন নতুন বহু লেখকের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহুসংখ্যক বই প্রকাশিত হচ্ছে। সেসব বইয়ের উচ্চ-মান, ভাব-মহত্ত্ব, দেশজশৈলি কিংবা আন্তর্জাতিকতা নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সময় এখনো আসেনি। অনাগতকালের যুগধর্মই এসব প্রকাশনার শিল্পমান ও কালোত্তীর্ণতা যাচাই-বাছাই করবে। কালের বিচারে এসবের কটি টিকে থাকবে, তাও আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়- যুগধর্মই নির্ধারণ কবে সব। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটুকু আমরা বলবই, লেখক ও প্রকাশের সম্মিলিত উচ্ছ¡াস আর পাঠক-ক্রেতার উৎসবমুখর পদচারণায় বাঙালির প্রাণস্পর্শে বইমেলা জমে ওঠে, এবারো জমে উঠেছে।
প্রতিদিন শতাধিক বইয়ের আত্মপ্রকাশ মানুষকে উদ্বেল করুক, দেশকে লগ্ন করুক বইয়ে বিবৃত চিন্তা ও দর্শনের সঙ্গে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্য দিয়ে জাতিসত্তার গভীর আবেগ আবিষ্কারসহ জাতির ভবিতব্য উন্মোচনেও সহায় হোক। জাতির ইতিহাস-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার ও আত্মগত ভাবুক দৃষ্টিভঙ্গি বাঙালির চোখে বিশ্ব দর্শনের পথ উন্মোচিত হোক- নতুন নতুন বইয়ের নতুন নতুন গন্ধামখা পাতা উল্টানোর সক্রিয়তায় আমরা জাতীয় জীবন ও অনুভব-অনুভূতিকে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় প্রকাশের পথ তৈরি করি। আমাদের চিন্তা-চেতনার ঔদার্য, ভাবনার মহত্ত্ব এবং একই সঙ্গে প্রকাশের অভিব্যক্তি হয়ে উঠুক বিশ্বমানের- বিশ্বমুখীন। গ্রিক পণ্ডিত ও দার্শনিক অ্যারিস্টটল তার সময় বলেছিলেন, ‘মেগা বিবলিওন মেগা কোকোন’ অর্থাৎ ‘যত বড় বই তত বড় জঞ্জাল’। এ কথা মনে রেখে আমরা যেন আবার হুজুগে প্রকাশের নামে জঞ্জাল বাড়িয়ে না তুলি। প্রত্যেক লেখকের মধ্যেই তাদের স্ব-স্ব এমনই দৃঢ় বিবেচনাবোধ থাকাও জরুরি। একুশ আমাদের আবেগায়িত করে বটে, গ্রন্থপ্রকাশে অন্তত কেবল আবেগকে পুঁজি করে চললে হবে না- কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সবাইকে বিবেকের কাঠিন্যকেও জয় করতে হবে।
মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার মহান প্রেরণার মাস ফেব্রুয়ারি। এই প্রেরণা কেবল বাংলা ভাষাই নয়, পৃথিবীর প্রতিটি জাতি এমনকি প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমাজে প্রচলিত মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষারও প্রেরণা। সচেতন সবারই দায়িত্ব স্ব-স্ব মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করা। কিন্তু আমরা কীভাবে আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করব- এমন প্রশ্নের আছে বহুবিধ উত্তর। নানাভাবেই আমরা আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে পারি- আমাদের পারতেই হবে। কারণ, আমাদের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য এদেশের অনেক তরুণ রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের কাছে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে কারাবরণ করেছেন অসংখ্য ছাত্র-জনতা। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলাকে পাকিস্তানি শাসকের কবল থেকে মুক্ত করতে হয়েছে। রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে বাংলা। কিন্তু বিগত ৭১ বছরেও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফেব্রুয়ারি এলেই আমাদের মধ্যে সে আক্ষেপই পুনঃপ্রকাশ হতে থাকে- আবার আশাবাদীও হতে থাকি এই ফেব্রুয়ারি থেকেই। অন্তত এজন্যই ফেব্রুয়ারিই আমাদের বহু প্রতীক্ষিত মাস। এ মাসেই উপলব্ধি করি, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা নিয়ে আমাদের যেমন সন্দেহ আছে, তেমনি অপরাপর ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষার অস্তিত্বও প্রসার নিয়েও শঙ্কার অভাব নেই। অর্থাৎ স্ব-স্ব সমাজে সবার মাতৃভাষা কতটুকু নিশ্চিন্ত, কতটুকুই বা নিঃশঙ্ক সে ভাবনারও দরজা খুলে দেয় ফেব্রুয়ারি- সব জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার সুরক্ষা প্রদানের ভাবনাও মহান একুশেরই প্রেরণা ও চেতনাজাত। কিন্তু হতাশাও বোধকরি এই ভেবে, সর্বস্তরে বাংলার প্রতিষ্ঠা নিয়েই যেখানে সংশয়, সেখানে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষাসমূহের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সাধনা আরো জটিল ও কঠিন।
নানাদিক থেকে নানা প্রেরণায় ফেব্রুয়ারি আবেগঘন অনুভূতি সঞ্চারের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে বাঙালির শাশ্বত চেতনায় তুমুল তরঙ্গে দোলায়িত হয়। এ হলো এক দিক। কিন্তু অপর পিকেই আবার ভিন্ন চিত্র। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত লোক আছেন, যারা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বরং বলতেই ভালোবাসেন, তিনি বাংলাটা ঠিক ভালোভাবে লিখতে জানেন না! কম্পিউটারে ইংরেজি টাইপ জানলেও বাংলায় তার গতি নেই, শ্লথ! ধারণা করি, যাদের বাংলা বানানে সমস্যা ইংরেজি বানানেও তাদের দক্ষতা তথৈবচ! যারা সব সময় লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত, তাদের সংস্পর্শে পেশাগত কারণেই প্রত্যহ আসতে হয়- ক্লাসে পাই তাই বানানের জন্য ভালো হোক মন্দ হোক দুটো কথা সরাসরি বলতে পারি- উপদেশও বলা যায় একে। ‘উপদেশ’ কেউ শোনে না, তারও প্রমাণ কিছুটা প্রতিষ্ঠিত হয়! আবার এমনও কিছু শিক্ষার্থী আছেন, যারা বানান বা বাক্যরীতির ভুল দেখিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সহজভাবে নেন না। তারা পূর্বে প্রকাশিত ঢাকা বা কলকাতার বিভিন্ন বইয়ে মুদ্রিত বানান দেখিয়ে এক ধরনের আত্মশ্লাঘা অনুভব করেন- ‘বই দেখেই তো লিখেছি, বইয়ে ভুল থাকলে আমাদের করার কী আছে?’ মাঝেমধ্যে রফিক-জব্বার-সালাম-বরকত-শফিউরের প্রাণ বিসর্জনের কথা মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। ১৯৪৮ থেকে শুরু হওয়া ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাঙালির আন্দোলনের কথা বলি। বাংলায় কথা বলা, গান গাওয়া, মাকে মা বলে ডাকা, বাংলা ভাষায় পড়াশোনার অধিকারের দাবিতে তোমাদের বয়সেই তারা তাদের তরুণ জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পুলিশের বন্দুকের কাছে। বলার চেষ্টা করি, বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রভাব নিয়েও। কার্যত কেউ শোনে, কেউ শোনে না- ‘উপদেশ’ বলে কথা। ইংরেজি, আরবি কিংবা অন্য কোনো ভাষাচর্চার ক্ষেত্রে কোনো স্বেচ্ছাচারিতা না থাকলেও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভাষা বাংলার ক্ষেত্রে আমরা সেই স্বেচ্ছাচারিতা, সেই অনাচার দেখিয়ে যাচ্ছি অনবরত। এই স্বেচ্ছাচারিতা স্কুল-কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কর্মক্ষেত্রেও করে যাচ্ছি। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বলা সম্ভব, যে মাতৃভাষার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, কারাবরণ করেছেন, তোমরা কেন সে ভাষাটির শুদ্ধ ব্যবহারের জন্য একটুখানি সচেতন হতে পারবে না? ভুল বানান আর অশুদ্ধ বাক্য গঠনের ভারে কেন তোমরা বাংলা ভাষাটিকে দিন দিন এমন জর্জরিত ও শ্রীহীন করে তুলবে? মাতৃভাষার প্রতি এমন অসতর্ক, অমনোযোগী ও নির্দয় ব্যবহার কমাতে হবে।
উপদেশের ছলে শিক্ষার্থীদের যা বলা সম্ভব তা কি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাউকে বলা সম্ভব? বাংলা একাডেমি বানান রীতি প্রমিত করার উদ্দেশ্যে অভিধান প্রকাশ করেছে তাও অনেক বছর হয়ে গেছে। কিন্তু সেই অভিধানের ব্যবহারিক প্রয়োগ স্কুল, কলেজ বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। দেখতে পাই না সরকারি কর্মকাণ্ডেও! আর একেক দৈনিক পত্রপত্রিকাও যার যার মতো স্বতন্ত্র বানানরীতি প্রতিষ্ঠা করে বসে আছে! আর এফএম ব্যান্ডের রেডিওগুলোর বাংলা উচ্চারণের কথা নাইবা উল্লেখ করলাম! বাংলা একাডেমি উচ্চারণের অভিধানও প্রকাশ করেছে। তারও কোনো ব্যবহার নেই! বাংলা উচ্চারণ ও বানানের অভিধান দুটিতে প্রচলিত বিভিন্ন শব্দের পরিবর্তিত এবং আধুনিক বানান ও উচ্চারণ রীতি দেখানো আছে। সেই সঙ্গে অভিধান দুটিতে বিভিন্ন উৎস থেকে বাংলা ভাষায় আগত বিভিন্ন শব্দের বানান ও উচ্চারণ বিষয়ক নিয়মনীতিও দেখানো হয়েছে। এসব নিয়মের প্রতি একটু যতœবান হলেই অনেক শব্দের বানান বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব, উচ্চারণও প্রমিত করা সম্ভব।
আমাদের মনে আছে, বাংলা একাডেমি নিজেও একসময় ‘ইংরেজি’ বা ‘বিদেশি’ ভাষার শব্দে ‘ই-কার’ ব্যবহারের নীতি প্রবর্তন করেও নিজের ঐতিহ্য রক্ষার অজুহাতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ‘বাংলা একাডেমি’ (শব্দটি ঈ-কারান্ত) লিখে আসছিল। ২০১৫ সালে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা ‘ই-কারান্ত’ যুক্ত করে ‘বাংলা একাডেমি’ হিসেবে পরিবর্তন সাধন করেছে। একই নিয়মে বর্তমান সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক সংগঠন ‘আওয়ামী লীগ’ নামটিরও সংশোধন আবশ্যক। কারণ ‘আওয়ামী’ এবং ‘লীগ’ দুটি শব্দই প্রকৃত বাংলা নয়। সুতরাং যুগোপযোগিতার স্বার্থে এবং শুদ্ধাচারের নীতি মেনে দলটি সংগঠনের নাম অসংকোচেই ‘আওয়ামি লিগ’ করতে পারে। বানানের বিশুদ্ধ নিয়ম এবং মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ মানতে দলের নীতিনির্ধারণী মহল বিষয়টি ভাববেন আশা করি। কারণ, বাংলা একাডেমির প্রতি মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়টি রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও কার্যকর বলে আমরা মনে করি। উচ্চ আদালতের রায়টি কার্যকর হলে বাংলা ভাষার যাচ্ছে-তাই ব্যবহার অর্থাৎ অন্তত বানান নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও ‘সরকারি’ এই শব্দটি লিখে থাকে ‘সরকারী’ হিসেবে যা বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বানান রীতির পরিপন্থি। প্রমিত বানানরীতির নিয়মে সোনালী, রূপালী, পূবালী, প্রভৃতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নামের বানানগুলো ঠিক করার সময় এসেছে। এ কাজটি বাংলা একাডেমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চিঠি দিয়েও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রথমত আবেদন করতে পারে।
ফেব্রুয়ারি আমাদেরকে প্রাণিত করে তুলুক আমরা যেন সচেতনভাবে বাংলা বানান ও বাক্য গঠনে নিয়মনিষ্ঠতার অনুসরণ করি। উচ্চারণের ক্ষেত্রেও মেনে চলি প্রমিত নিয়ম। এজন্য শুরু হতে পারে জনে জনে ব্যক্তিক আন্দোলন। ফেব্রুয়ারির আবেগঘন ও তরঙ্গায়িত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির ভাষাচর্চায় শুদ্ধতা ফিরুক। সেইসঙ্গে পৃথিবীর সব জাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষও এই তুমুল তরঙ্গে আন্দোলিত হয়ে উঠুক যেন তারাও তাদের মাতৃভাষার শ্রীবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি সাধনে তৎপর হয়।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়