কেরানীগঞ্জের দগ্ধ সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আগের সংবাদ

অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে : অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

সেমিনারে বিশ্লেষকরা : মার্কিন ‘বার্মা অ্যাক্ট’ আঞ্চলিক সংঘর্ষ বাড়াতে পারে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ‘বার্মা অ্যাক্ট’ পাস হয়েছে। এই আইনের কারণে ওই অঞ্চলে সংঘর্ষ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এই অবস্থায় কোনো পক্ষে শামিল না হওয়া বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ‘রেস্টোরিং পিস ইন মিয়ানমার: টু ইয়ারস আফটার মিলিটারি ক্যু’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সামরিক শাসন অবসানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে এবং এজন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক ভূ-রাজনীতি অনেক পুরনো। এখানে ভারত চীনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। আবার চীন ভারতকে একদিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করতে পারে। এটি হয়তো আমাদের জন্য ভালো হবে না। এক্ষেত্রে আমার বিবেচনায় আমাদের হাতে তিনটি অপশন আছে। তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি, এই অঞ্চলে আমরা সংঘর্ষ চাই না। তোমরা যদি সংঘর্ষ করতে চাও, নিজেদের এলাকায় করো। আমার বিবেচনায় এটি সবচেয়ে ভালো অপশন। অন্য দুটি অপশনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমত, আমরা প্রতিরক্ষা-কেন্দ্রিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করার নীতি অনুসরণ করতে পারি। দ্বিতীয়ত, এই সংঘর্ষে সরাসরি অংশ নিতে পারি এবং সেক্ষেত্রে চীন অথবা ভারত যে কোনো একটি দেশকে বেছে নিতে হবে, কারণ এখানে দুইপক্ষের সঙ্গেই থাকা যাবে না।
মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ওয়েই সো বলেন, আমি রাজনীতিবিদ নই, একজন চিকিৎসক। কিন্তু আমি এখানে এসেছি, কারণ এটি জনগণের যুদ্ধ। রোহিঙ্গাদের এনইউজি কীভাবে দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের লোক এবং তারা আমাদের একজন। মিয়ানমারের ৫০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল এনইউজি নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি সামরিক সৈন্য মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম এবং এখন আমরা অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। বর্তমানে আমাদের সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি এবং আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জিতব। আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রতিনিধি হ্লা মিন্ট বলেন, রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এখন এক হচ্ছে। কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি, এক না থাকলে আমাদের সমস্যা হবে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ইস্টার্ন অ্যাপ্রোচ (চীনের নীতি) অনুসরণ করছে- যা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমাদের পশ্চিমা নীতি (বার্মা অ্যাক্ট) অনুসরণ করা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়