উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

গিনেস বুকে ১২ বার মাহমুদুলের নাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় মাহমুদুল হাসান ফয়সাল নামের এক তরুণ ক্রীড়া ক্ষেত্রে নিজের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন। ফুটবল ফ্রি স্টাইল করে ২১ বছর বয়সেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১২ বার নাম লিখিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ‘দ্য মোস্ট বাস্কেটবল নেক থ্রো এন্ড ক্যাচেস ইন থার্টি সেকেন্ডস’ ইভেন্টে রেকর্ড গড়ে বিশ্বদরবারে নিজের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম তুলে ধরেছেন মাগুরার এই তরুণ। গিনেস কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট বলছে, এই ইভেন্টে ৩০ সেকেন্ডে ২৯ বার ঘাড়ের উপর বাস্কেটবল নাচিয়ে রেকর্ডটি নিজের দখলে নিয়েছেন। রেকর্ডটি ২০২১ সালের ১১ জুন হলেও এর স্বীকৃতি মাহমুদুল হাসান পেয়েছেন ২৮ জানুয়ারি।
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পাঁচবার ব্যর্থ হওয়ার পর ষষ্ঠবারে রেকর্ডটি নিজের দখলে নিতে পেরেছি। এভাবেই গড়তে চান আরও অনেক রেকর্ড। মাহমুদুল এখন পর্যন্ত মোট আটটি ইভেন্টে রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে একটি ইভেন্টে তিনি নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন পাঁচবার। সে হিসেবে ওয়েবসাইটটিতে তার নাম উঠেছে মোট ১২ বার।
এর আগে গিনেস বুকে মাহমুদুল হাসানের রেকর্ডগুলো হলো- দ্য মোস্ট ফুটবল আর্ম রোলস ইন

ওয়ান মিনিট (১৩৪ বার), দ্য মোস্ট বাস্কেটবল আর্ম রোলস ইন ওয়ান মিনিট (১৪৪ বার), দ্য মোস্ট বাস্কেটবল নেক ক্যাচেচ ইন ওয়ান মিনিট (৩৪ বার), দ্য মোস্ট ফুটবল নেক থ্রো এন্ড ক্যাচেচ ইন ওয়ান মিনিট (৬৬ বার), দ্য মোস্ট রোলস এক্রোস দ্য ফোরহেড ইন থার্টি সেকেন্ডস (৪৬ বার), দ্য মোস্ট ফুটবল (সকার বল) নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেচ ইন থার্টি সেকেন্ডস (৩৬ বার)। এ ছাড়া দ্য মোস্ট ফুটবল আর্ম রোলস ইন থার্টি সেকেন্ডস ইভেন্টে পাঁচবার রেকর্ড করেছেন তিনি। এই ইভেন্টে দুবার ৬২, একবার করে ৬৬, ৬৮ ও ৭৭ বার বল নাচিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। মাহমুদুল আটটির কথা বললেও গিনেস কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট বলছে, বাংলাদেশি এই ফুটবল ফ্রি স্টাইলারের দখলে আছে ৯টি গিনেস রেকর্ড। এটিকে ওয়েবসাইটে তথ্যগত বিভ্রাট বলেছেন মাহমুদুল।
মাহমুদুল ২০১৮ সালে দ্য মোস্ট ফুটবল আর্ম রোলস ইন ওয়ান মিনিট এক মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার বাহুর ওপরে ফুটবল ঘুরিয়ে (১৩৪ বার) প্রথম রেকর্ডটি গড়েন। মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকাট্রনিকস বিভাগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলে পড়া শেষ করে এখন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাহমুদুল হাসান। তার বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে। বাবা সোহেল রানা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। মা মঞ্জুয়ারা খানম গৃহিণী।
১২ বারের মতো গিনেস বইয়ে নিজের নাম ওঠানোর পর মাহমুদুলের লক্ষ্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল আমি প্রকৌশলী হব। সেটি শেষ করব। এর পাশাপাশি ফ্রি স্টাইল চালিয়ে যাব। কারণ, এটা আমার ভালো লাগে। এভাবে চলতে থাকলে আরও অনেক রেকর্ড আমার দখলে চলে আসেবে।
শৈশবে মাহমুদুলের স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। প্রিয় খেলোয়াড় ছিল সাকিব আল হাসান। তবে পরিবারের সমর্থন না পেয়ে সে স্বপ্ন বেশি দূর এগোয়নি। মাহমুদুল বলেন, যখন দেখলাম ক্রিকেটে বেশি দূর এগোতে পারছি না। তখনই ফ্রি স্টাইল শুরু করি, আমার বাসার ছোট বারান্দা থেকে। এক ডজন রেকর্ড করা সহজ ছিল না। শুরুতে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা অনুশীলন করতে হয়েছে। আমাদের দেশে ফ্রি স্টাইল তেমন জনপ্রিয় নয়, এ কারণে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কঠিন। তবে এখন ধীরে ধীরে এটা জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেকেই এখন ফ্রি স্টাইল করছে। এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়