উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

এ বছর নিপাহ ভাইরাসে পাঁচ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন, তাদের মধ্যে ৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, অসতর্কতার কারণেই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সংক্রমিত ও মৃতদের বেশির ভাগই রাজশাহীর বিভাগের। আক্রান্তদের প্রত্যেককেই চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ হাসপাতালে আলাদা আইসিইউ ইউনিট তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের চেয়ে এবার শীত মৌসুমে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভাইরাসজনিত এই রোগ যাতে না বাড়ে সেই চেষ্টা চলছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে টেলিভিশন এবং পত্রিকায় নিপাহ ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে।
সাধারণত শীতকালে বাদুরের মাধ্যমে খেঁজুরের রস থেকে মানুষে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, অসতর্কতার কারণে লোকজন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। খেজুরের কাঁচা রস খেলে নিপাহ ভাইরাস হয়। অনেকেই সেটা খাচ্ছেন। এছাড়া যে ফলের কিছু অংশ পাখি খেয়ে ফেলে, সেই আধা খাওয়া ফলও খাওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সেবার মান নির্ধারণে সরকারের পরিকল্পনাও তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালের ক্যাটাগরি করতে চাচ্ছি। জনগণ যেন জানতে পারে সেটা কোন শ্রেণির হাসপাতাল, এর খরচ কেমন। জনগণ এটা দেখেই হাসপাতালে যাবে চিকিৎসা নিতে। এছাড়া চিকিৎসা ও পরীক্ষানিরীক্ষার খরচের বেলায়ও এই ব্যবস্থা থাকবে। সব হাসপাতালে এক হবে না। যারা বড় হাসপাতাল, বিনিয়োগ বেশি, সেবা ভালো- সেখানকার রেট একটু বেশি হবে। আবার যে হাসপাতালের মান কিছুটা কম, তার ফি কিছুটা কম হবে। দেশে ১৩ হাজার ৭২৬টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫২৮টি হাসপাতাল, বাকিগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্ল্যাড ব্যাংক।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়