উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সংশোধিত বিল পাস : প্রতিবাদে সংসদ থেকে মোকাব্বির খানের ওয়াকআউট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল পাসের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৩ এ উত্থাপন ও পাসের প্রস্তাবের প্রতিবাদে তিনি ওয়াকআউট করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভপতিত্ব করছিলেন।
তার বক্তব্যে মোকাব্বির খান বলেন, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। সুতরাং সরকার এ জনস্বার্থবিরোধী বিলটি পাস করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর বিল পাসের দুয়েকদিনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে। জনগণ এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের সমস্যায় কষ্টে আছেন। বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেলে তাদের কষ্ট আরো এক ধাপ বাড়বে।
স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক সরকার ও ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি বা কালো আইন একসঙ্গে চলতে পারে না। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার আস্থা হারায় তখন নিজেদের সুরক্ষার জন্য সরকার ইনডেমনিটি বা কালো আইনের আশ্রয় নেয়। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকার নিজেদের ও খুনিদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি বা কালো আইনের আশ্রয় নিয়েছিল।
মোকাব্বির বলেন, আজকের এই বিলটির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো। বিলটি পাস হলে কাল বা পরশু বিদ্যুতের দাম বাড়বে। আমি যেহেতু জনগণের প্রতিনিধি তাই আমি এটা সমর্থন করতে পারি না। আমি সে কারণে আমার সংশোধনীগুলো প্রত্যাহার করে নিলাম। আর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী যেহেতু জনস্বার্থবিরোধী এই বিলটি প্রত্যাহার করেননি, তাই বিলটি অবশ্যই পাস হবে। তাই জনস্বার্থে আমি নিজেকে প্রত্যাহার করলাম এবং বিলটি পাসের প্রতিবাদে আমি ওয়াকআউট করলাম।
এর আগে মোকাব্বির খান বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। এর পক্ষে তিনি বক্তব্য রাখেন এবং বক্তব্যে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
মোকাব্বির আরো খান বলেন, বিলটি ১৬ কোটি মানুষের ওপর একটা বিরাট বার্ডেন (বোঝা)। বিগত ১৪ বছরে মোট ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে এবং সর্বশেষ চলতি মাসে বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সরকারের কাছে পাওনা আছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। যদি আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে সরকার এই পাওনা দিতে না পারে তবে অনিবার্যভাবে আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং হবে। এই সংকট কাটানোর জন্য এবং দাতা সংস্থার শর্তপূরণের জন্য আজকের এই কালো আইন। বিদ্যুৎ সেক্টরের এই দুরবস্থার মূল কারণ হলো- এই সেক্টরে ব্যাপক দুর্নীতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়