উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

একটি সেতু ঘিরে ২০ গ্রামের মানুষের নতুন স্বপ্ন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : ডুমুরিয়া উপজেলার অবহেলিত মাগুরখালী ইউনিয়নে চটচটিয়া সেতু ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছেন অবহেলিত মাগুরখালী ইউনিয়নবাসী। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ সেতুটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা হয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
সরজমিনে গিয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন ছিল মাগুরখালী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭/১ ফোল্ডার আওতাধীন মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর, পূর্বপাতিবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, পশ্চিমপাতিবুনিয়া, ঝরঝরিয়া, কাঠালিয়া, ব্রহ্মারবেড, বৈঠাহারা, শেখেরট্যাক, মহাদেবপুর, মাগুরখালী, কোড়াকাটা, খোরেরাবাদ, হেতাইলবুনিয়া, চিত্রায়ারী, পারমাগুরখালী, গজালীয়া, কাঞ্চননগর, লাঙ্গলমোড়া, আলাদিপুর ও নাথেরকুল গ্রাম মিলে প্রায় ১৮ হাজার লোকের বসবাস। শহর থেকে এলাকাটি দূরে হওয়ায় এ যাবত কাল তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে। চলাচলের ভালো কোনো রাস্তা না থাকায় এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করে আসছে সারা জীবন। এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। নৌকাযোগে তারা গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে অন্যের বাড়িসহ শহরে যাওয়া আসা করত। রাস্তাঘাট যা একটু ছিল তা বর্ষাকালে হাঁটু কাঁদা হয়ে যেত। ফলে শহরের সঙ্গে মাগুরখালী এলাকার মানুষের যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত বলা যেতে পারে। সেই সময় অনেক অসুস্থ রোগীকে অকালে প্রাণ হারাতেও হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এক সময় মাগুরখালীর মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
শিবনগর-চটচটিয়া ঘাটে গ্যাংরাইল নদীর ওপর ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দে ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে সেতুটি। এটা হলে দুই জেলা শহর তথা খুলনা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানুষ ডুমুরিয়া- কপিলমুনি হয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এতে যেমন বাচবে সময় তেমন বাচবে অর্থ। এছাড়া আমুড়বুনিয়া, চিত্রামারী ও পশ্চিম পাতিবুনিয়ায় গ্রামীণ ছোট খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। মাগুরখালীর প্রায় অলিগলি পাকা করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ডুমুরিয়ার মাগুরখালী আর অবহেলিত নেই। সরকারের সারাদেশের উন্নয়নের ছোঁয়া মাগুরখালীতেও পৌঁছে গেছে। একটা সময় সেখানে রাস্তাঘাটসহ উন্নয়নমূলক কিছুই ছিল না। এখন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমরা মাগুরখালীসহ ডুমুরিয়া উপজেলার প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। মাগুরখালী আর ডাউন নয় এখন টাউনে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়