শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

ট্যাঙ্ক পৌঁছার আগেই নতুন দাবি কিয়েভের : পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু ইউরোপে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহরিয়ার বিপ্লব : সারা বিশ্ব মাতামাতি করে যে ট্যাঙ্ক পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন, সে ট্যাঙ্ক কিয়েভে পৌঁছতে পৌঁছতে জেলেনস্কির সৈন্যদের কী হতে পারে তার একটি বিশ্লেষণ করেছে যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজ। পত্রিকাটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ডমিনিক ওয়াঘর্ন প্রতিবেদনের শুরুতেই প্রশ্ন করেছেন কিয়েভের সৈন্যরা কী সময়মতো পাবে এই ট্যাঙ্ক? প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কমান্ডাররা ভয় পাচ্ছে, যে হারে হামলা হচ্ছে এগুলো আসতে আসতে নতুন ট্যাঙ্ক চাওয়ার সময় হয়ে যাবে।
ট্যাঙ্ক পৌঁছতে কত সময় লাগবে : পত্রিকাটি লিখেছে পশ্চিমা নীতির পরিবর্তন তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে জার্মান সরকার চাপের মধ্যে পরে ট্যাঙ্ক দেবার কথা স্বীকার করলেও তাদের দান যে প্রতীকী তা বুঝতে আর কারো বাকি নেই। আর এই জার্মান লেপার্ড সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ইউরোপজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে যা পৌঁছাতে তিন মাস সময় লাগতে পারে। শুধু তাই নয় ক্রু প্রশিক্ষণের জন্য কেবল কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়া হবে। কীভাবে মোতায়েন করা যায় তা শিখতে আরো বেশি সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধ ইউরোপে : অরগানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ বা ওএসসিইতে নিযুক্ত রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত ম্যাক্সিম বুয়াকেভিচ গতকাল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমেরিকার কাণ্ডজ্ঞানহীন নব্য উপনিবেশবাদী ও স¤প্রসারণবাদী নীতি ইউরোপ এবং সম্ভবত সারা বিশ্বকে বিপর্যয়কর যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। রাশিয়ার এ কূটনীতিক আরো বলেন, ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের অব্যাহত স¤প্রসারণ সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে এবং সেই যুদ্ধে কোনো পক্ষ বিজয়ী হবে না। ম্যাক্সিম ুবুয়াকেভিচ সুস্পষ্ট করে বলেন,

যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো রেডলাইনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তারা ইউক্রেনকে ডজন ডজন ট্যাঙ্ক দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল হয়েছে। সামরিক সংঘাত বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সরাসরি দায়ী করেন বুয়াকেভিচ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাই ইউক্রেনকে রাশিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে উসকানি দিচ্ছে। আর এটি হচ্ছে ইউরোপে পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধ শুরুর সোজা পথ। এ ধরনের যুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপ মহাদেশের জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করেন রাশিয়ার কূটনীতিক। আরেকজন মার্কিন কূটনীতিক বলেন, পুতিন ইউক্রেনে বিশেষ অভিযানের ধারণা থেকে সরে এখন ন্যাটো এবং পশ্চিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ধারণায় চলে এসেছেন। অবশ্য ন্যাটো-রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধের বিষয়ে হোয়াইট হাউস মন্তব্য করেছে ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণের ঝুঁকিতে নেই, বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এমনটাই বলেছেন।
এদিকে রাশিয়া ধারাবাহিকভাবে ন্যাটোর পূর্ব দিকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে দেখছে। অক্টোবরের শেষের দিকে, ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে আমেরিকান সৈন্যরা আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি, আমরা তত বেশি বিপদের মধ্যে আছি। যারা আমাদের রেড লাইন রক্ষা করবে না তাদের ব্যাপারে আমরা ভাবতে রাজি নই। সুতরাং আমাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য যা করার তাই করব।
ইউক্রেনের কত দাবি : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছে আরও অস্ত্র সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছেন। সিএনএন এর খবরে বলা হয় রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক ভাষণে ইউক্রেনীয়দের বলেন, আমাদের এখন আকাশ প্রতিরক্ষা বিমান দরকার। পশ্চিমাদের এই আকাশ প্রতিরক্ষা দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়