প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

রাজধানীতে বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু : সড়ক অবরোধ করে সহপাঠীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম নাদিয়া। তিনি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে এসে গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পর থেকেই বাসচালক পলাতক আছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নাদিয়ার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত চালককে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
এদিকে নাদিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন তার সহপাঠীরা। এ

সময় বিমানবন্দর এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। তবে সন্ধ্যায় পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেন। এরপর থেকে বিমানবন্দর সড়কে আবারো যানচলাচল শুরু হয়। এর আগে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাজধানীর কাওলা এলাকার ব্রিজের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকশ শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করেন। বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক বলেন, আমাদের অনুরোধে গতকাল সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর বিমানবন্দর সড়কে যানচলাচল শুরু হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ যানচলাচল বন্ধ থাকায় গাড়ির চাপ তৈরি হয়। জানা গেছে, রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বন্ধু মেহেদী হাসানের সঙ্গে ঘুরতে বের হন নাদিয়া। ঘটনার সময় মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলেন তিনি। আর তা চালাচ্ছিল বন্ধু মেহেদী হাসান। এ সময় ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে বন্ধু অক্ষত থাকলেও প্রাণ হারান নাদিয়া।
বন্ধু মেহেদী হাসান জানান, নাদিয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দান ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা নাদিয়া। ভাটারা থানার ওসি এ বি এম আসাদুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাদিয়া তার বন্ধু মেহেদী হাসানের সঙ্গে ঘুরতে ভাটারা এলাকায় আসেন। ঘটনার সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন মেহেদী। নাদিয়া পেছনে বসা ছিলেন। এ সময় ভিক্টর পরিবহনের চাপায় প্রাণ যায় নাদিয়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে তার আগেই চালক পালিয়ে যান। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে ওসি আরো বলেন, মাথায় আঘাত পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহী হলেও তার মাথায় হেলমেট ছিল না। হেলমেট পরা থাকলে হয়তো এ করুণ পরিণতি থেকে রক্ষা পেতেন ওই শিক্ষার্থী। তবে বাসচালককে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়