প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

দেশীয় খেলোয়াড়দের দাপট : ঢাকায় ফিরল বিপিএল, চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ রংপুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের খেলা চলছে গত ৬ জানুয়ারি থেকে। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় আটটি ম্যাচ হওয়ার পর বিপিএলের খেলা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের মাঠে। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রামের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২টি ম্যাচ। আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে আবারো ঢাকায় ফিরল বিপিএল। চট্টগ্রাম-রংপুর ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং ঢাকা ডমিনেটর্স। ঢাকায় দুই দিনব্যাপী চারটি ম্যাচ হওয়ার পর বিপিএলের ভেন্যু আবার পরিবর্তিত হয়ে যাবে সিলেটে। সেখানে আটটি ম্যাচ হওয়ার পর বিপিএল পুনরায় ঢাকায় ফিরবে।
ঢাকায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের ফেভারিট কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে আছে। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে তাদের পয়েন্ট ৬। আজকের ম্যাচে কুমিল্লার হয়ে মাঠে নামবেন আরেক পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলার কথা ছিল নাসিমের। তবে সবশেষে জানা যায় খুলনার সঙ্গে তার কোনো চুক্তিই হয়নি। এই মুহূর্তে তাকে কুমিল্লাই নিজেদের দিকে ভিড়িয়েছে। এ ম্যাচে কুমিল্লার প্রতিদ্ব›দ্বী ঢাকা ডমিনেটর্স আছে পয়েন্ট টেবিলের সর্বশেষ স্থানে। অলরাউন্ডার নাসির হোসেন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যাট ও বল হাতে ভালো খেললেও তার দল তেমন ভালো করতে পারছে না। ছয়টি ম্যাচের পাঁচটিতেই পরাজিত হয়ে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২।
ঢাকায় প্রথম পর্বের আট ম্যাচ শেষে টেবিলে সবার উপরে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের জয়রথ থেমেছে চট্টগ্রামের মাটিতে। চট্টগ্রামপর্বের ১২টি ম্যাচে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে। জয় দিয়ে শুরু করে মাশরাফিরা মোট ৬ ম্যাচের প্রথম ৫টিতে জয়ের ধারা ধরে রেখেছিল। নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা কুমিল্লার কাছে পরাজিত হয়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। অন্যদিকে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের বিপিএল শুরুই হয় পরাজয় দিয়ে। তবে পরের প্রতিটি ম্যাচেই তারা জয় ছিনিয়ে এনেছে। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জয়ী হয়ে তাদেরও পয়েন্ট ১০। তবে নেট রানরেটের কারণে সমান পয়েন্ট নিয়েও ফরচুন বরিশাল পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। সিলেট থেকে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে চট্টগ্রামপর্ব শুরু করেছিল সাকিবের দল। কিন্তু শেষ করল সিলেট স্ট্রাইকার্সের সমান পয়েন্ট নিয়ে।
তৃতীয় স্থানটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। চট্টগ্রামপর্বে ওঠানামার পালায় লাভবান তামিম ও ইয়াসির আলী রাব্বির খুলনা টাইগার্সও। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর দুই ম্যাচ জিতে চারে উঠে এসেছে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।
এ মুহূর্তে খুলনা, রংপুর ও চট্টগ্রামের পয়েন্ট সমান (৪ করে)। খুলনা ও চট্টগ্রাম খেলেছে ছয়টি ম্যাচ, অন্যদিকে রংপুর ম্যাচ খেলেছে পাঁচটি। খুলনার নেট রানরেট -০.০০৬, রংপুরের -০.৫২৩, আর চট্টগ্রামের -০.৮০২। তাই সমান পয়েন্ট নিয়েও চারে খুলনা, পাঁচে রংপুর রাইডার্স এবং ছয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ থেকে শুরু হওয়া ঢাকাপর্ব ও ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সিলেটপর্বে অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন না ঘটলে নাসিরের দলের সেরা চারে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপিএলের আগের আসরে ক্রিকেট বিশ্বের অনেক বড় বড় মুখ দেখা গেলেও এ আসরে বড় কোনো তারকা আসেননি। তবে এ আসরেও আছে বিদেশি খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি। এ আসরের ৭টি দলের বিদেশি খেলোয়াড়দের ছাপিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন দেশের খেলোয়াড়রাই। সকল পরিসংখ্যানেই বিদেশি খেলোয়াড়দের চেয়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা।
ব্যাটিং রেকর্ডে বিপিএলের এ আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানধারী হলেন ফরচুন বরিশালের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ছয়টি ম্যাচে খেলেছেন পাঁচটি ইনিংস। এ পর্যন্ত মোট ১৪০ বলের মুখোমুখি হয়ে তিনি ২৭৫ রান সংগ্রহ করেছেন। এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৮৯ রান। এ সংগ্রহ গড়তে তিনি ১৫টি ছয় ও ৩০টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন আরেক বাংলাদেশি খেলোয়াড় ঢাকা ডমিনেটর্সের নাসির হোসেন। ৬টি ইনিংস খেলে তার সংগ্রহ ২০৫ বলে ২৬৯ রান। এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৬৬ রান। এ সংগ্রহ গড়তে তিনি ছয় মেরেছেন ৬টি এবং বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ২৬টি। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তনের ইফতিখার আহমেদ। তার মোট সংগ্রহ ১৪১ বলে ২৫৬ রান। তালিকার শীর্ষ দশজনের সাতজনই দেশি খেলোয়াড়।
সর্বোচ্চ উইকেট তোলার তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন পাকিস্তানি বোলার ওয়াহাব রিয়াজ। তবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়রাই। বিশ ওভার বল করে ১৩৫ রান খরচে ৯টি উইকেট তুলে দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বিপিএলের এ আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলছেন। এ তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা তানভীর ইসলাম। তিনি চার ইনিংসে বল করেছেন ১৬ ওভার। ৯২ রান খরচে তিনি তুলেছেন ৮টি উইকেট। পাঁচ ইনিংসে ১৪ ওভার বল করে ১০৩ রান খরচে ৭টি উইকেট তুলে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন ঢাকা ডমিনেটর্সের নাসির হোসেন। এ তালিকায়ও শীর্ষ দশজন খেলোয়াড়ের সাতজন বাংলাদেশের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়