প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

আবু নাসের খান : দূষণের উৎস বন্ধ করতে হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ আইন অনুসারে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা প্রয়োজন- এই মন্তব্য করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেছেন, বায়ু দূষণের উৎস বন্ধ করতে হবে। বায়ু দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া অকারণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, ভবন নির্মাণ ও ভাঙা, ইটের ভাটাগুলোকে নজরদারিতে আনা প্রয়োজন। গতকাল রবিবার টেলিফোনে ভোরের কাগজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বায়ু দূষণের কারণ, ক্ষতিকর দিক ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলেন এই পরিবেশবিদ।
আবু নাসের খান বলেন, বায়ু দূষণে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে। প্রতি বছর দেশে প্রায় এক লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। অসংখ্য মানুষ দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন এজন্য। শিশু ও বয়স্করা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হারও বাড়ছে। স্বাস্থ্যগত দিক ছাড়াও আর্থিক খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই চাপ পড়ছে।
তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পানি ও মাটি সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গাছপালা রোগাক্রান্ত হচ্ছে। ধুলার আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। সঠিকভাবে অক্সিজেনও পাচ্ছি না আমরা।
বায়ু দূষণের কারণ প্রসঙ্গে এই পরিবেশবিদ বলেন, গত ১০ বছরে ঢাকায় কনস্ট্রাকশন কাজ অনেক বেড়েছে। ইট বালু সুরকির কাজ চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিধিবিধান না মেনে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এসব থেকে দূষণ হচ্ছে। গাড়ির কালো ধোঁয়া মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করছে। ভালো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। শীতকালে ইটের ভাটায় দূষণ বেড়ে যায়। কলখারখানায় দূষণ বেশি হয়। বর্জ্য থেকেও দূষণ হচ্ছে। মিথেন গ্যাস হচ্ছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও গড়ে উঠেনি।
প্রতিকারের উপায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব চিহ্নিত করতে পারছি না। বাস্তবায়নকারী সংস্থাদের দায়িত্বপালন সঠিক হচ্ছে না। এটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এক্ষেত্রে পলিসি করবে রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু ক্ষমতাসীন দল নয়, বিরোধী দলগুলোও এক্ষেত্রে সোচ্চার থাকা প্রয়োজন। আর সরকার বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে দায়িত্বশীলদের প্রশ্ন করতে পারি না। জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করতে পারিনি। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকেও এজন্য এগিয়ে আসতে হবে। তাদের ঐক্যমত্য প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়