মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন সংস্করণে চার ক্রিকেটার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে ২১ ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি তিন সংস্করণে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাদা আলাদা চুক্তি করে তারা। যেখানে তিন সংস্করণে কেবল জায়গা পেয়েছেন চার ক্রিকেটার আর প্রথমবারের মতো চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন জাকির হাসেন ও হাসান মাহমুদ।
বিসিবি গতবারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল মার্চ মাসে। তবে এবার তারা জানুয়ারিতেই চুক্তি চূড়ান্ত করে। গতবারের ন্যায় এবারো ২১ ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করে বিসিবি। তিন সংস্করণের চুক্তিতে গতবারের মতো এবারো জায়গা পেয়েছেন লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ। গতবার তিন সংস্করণের চুক্তিতে ছিলেন পাঁচ ক্রিকেটার। সেখান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিম ও শরিফুল ইসলামকে। আর নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। মুশফিক আছেন ওয়ানডে ও টেস্ট চুক্তিতে। গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ায় বাদ দেয়া হয় তাকে। আর তিন সংস্করণে গতবারের তালিকা থেকে বাদ পড়া শরিফুল ইসলামকে রাখা শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। গত বছর চার টেস্ট খেলে সাত উইকেট নিয়েছেন তিনি। এবার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন চার ক্রিকেটার। ইয়াসির আলি, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাইম শেখ বাদ পড়ায় তাদের পরিবর্তে চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, জাকির হাসান, খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথমবারের মতো চুক্তিতে স্থান পাওয়া জাকির আছেন শুধু টেস্ট ক্রিকেটে। নিজের অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার জাকির। হাসান মাহমুদ আছেন টি-টোয়েন্টিতে। ধারাবাহিকভাবে টি-টোয়েন্টিতে ভালো পারফরমেন্স করায় তাকে চুক্তিতে রাখে বিসিবি। আর ব্যাটে-বলে সব সংস্করণেই ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাই বিসিবির এই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন সংস্করণেই জায়গা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। মিরাজের ঠিক উল্টো প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারানোর পর এই সংস্করণের চুক্তিতেও রাখা হয়নি তাকে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আছেন কেবল ওয়ানডের চুক্তিতে। মিরাজের সঙ্গে তিন সংস্করণেই চুক্তিতে আছেন টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিন সংস্করণেই ব্যাটে-বলে দারুণ সময় পার করছেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপ ছিল সাকিব আল হাসানের জন্য স্মরণীয় আসর। দল পরের রাউন্ডে যেতে না পারলেও ব্যাট হাতে সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। আর চলতি বিপিএলে সাকিব ব্যাট হাতে যেমন মারকুটে তেমনি বল হাতেও দারুণ। এখন পর্যন্ত বিপিএলে ৫ ইনিংসে সাকিবের রান ২৭৫। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। এছাড়া চুক্তিতে থাকা ওপেনার লিটন দাসের গত বছর কেটেছে দুর্দান্ত। আর বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তাই তিন সংস্করণেই জায়গা পেয়েছেন তারা।
বাদ পড়া ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ছিলেন শুধু টেস্টের চুক্তিতে আর নাঈম ছিলেন শুধু টি-টোয়েন্টিতে। ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের টেস্ট সিরিজে তেমন কোনো ভালো পারফরমেন্স উপহার দিতে পারেনি কেউ। যে কারণে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি তারা। টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি ওয়ানডে ও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভালো কিছু করতে পারেনি তারা। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি নাঈম শেখ। তাই কোনো চুক্তিতেই জায়গা হয়নি তার।
মুশফিকের পাশাপাশি বোর্ডের টেস্ট ও ওয়ানডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। জাকির হাসানের সঙ্গে টেস্ট চুক্তিতে আছেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক, স্পিনার তাইজুল ইসলাম, পেসার এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। গত বছর টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর একাদশে জায়গা হারিয়ে পরে বছরের শেষ দিকে ফিরে পারফর্ম করে টেস্ট চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মুমিনুল। শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটের চুক্তিতে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুধু টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে হাসান মাহমুদের সঙ্গে আছেন নাসুম আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান।
গত বছর ৫ টেস্ট খেলে ২৯.৩৩ গড়ে ২৬৪ রান করেছেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান সোহান। ডিসমিসাল করেছেন ১৭টি। টেস্টে তাকে এখন বিশেষজ্ঞ কিপার হিসেবে নিয়মিতই খেলাচ্ছে দল। পাশাপাশি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮০ রান করেন ওপেনার শান্ত। আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের চুক্তিতে আছেন আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। গতবারের ন্যায় এবারো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের মতো ক্রিকেটাররা। চুক্তিতে জায়গা পাওয়ার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি তারা। সব মিলিয়ে টেস্টের চুক্তিতে এবার রাখা হয়েছে ১৩ ক্রিকেটারকে। গতবার এই চুক্তিতে ছিলেন ১৪ জন। ওয়ানডের চুক্তিতে আছেন ১০ জন এবং টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে আছেন ১৩ ক্রিকেটার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়