মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

অধ্যাপক বদরুল ইমাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ : প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে, কিছু করার নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা জাহাজটি ফেরত গেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে এখন অপেক্ষা করা ছাড়া বাংলাদেশের তেমন কিছু করার নেই। গতকাল শনিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, রূপপুরের মালামাল নিয়ে জাহাজ ফিরে যাওয়ার কারণে এখন হয়তো নির্মাণকাজ শেষ হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে, প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে। কতদিন পেছাবে তা নির্ভর করছে মালামাল ফিরে আসতে কতদিন সময় লাগবে তার ওপর। এই অবস্থায় এখানে বাংলাদেশের করার খুব একটা কিছু নেই। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি খণ্ডন করাও সহজ হবে না। বালাদেশ রাশিয়ার ওপর কোনো চাপও প্রয়োগ করতে পারবে না, কারণ উভয় দেশের কূটনৈতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক পুরনো ও পরীক্ষিত। বৈশ্বিক কারণেই আসলে এই পরিস্থিতি মেনে নিয়ে উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কী করলে সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব- এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, আমি মনে করি এই পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশি কিছু করনীয় নেই। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাই এখানে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয় হলে দ্রুতই সমাধান করার সুযোগ ছিল। তবে এই বিষয়ে রাশিয়া ইতোমধ্যেই বলেছে, তারা এই মালামাল এমন একটি জাহাজে পাঠাবে যে জাহাজের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এই জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ে রূপপুরের জন্য আনা মালামাল খালাস করতে পারবে। রাশিয়ার এই উদ্যোগের ফলে মালামাল আসতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটা নিরপেক্ষ অবস্থানে আছে, রাশিয়ার পক্ষেও নয়, আবার আমেরিকার পক্ষেও নয়। এই অবস্থায় পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার ওপর কিছু চাপিয়ে দেয়াও ঠিক হবে না। তিনি বলেন, প্রথম ইউনিটের কাজ শেষের পথে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ অনেক বাকি আছে। হয়তো দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ৬ মাস থেকে ১ বছর পিছিয়ে যাবে। আমাদের এটা মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়