সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

লড়াই করে সৌদি অলস্টারের বিপক্ষে জিতল পিএসজি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সৌদি আরবের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে গত পরশু রাতে আল হিলাল ও আল নাসরের সমন্বিত একাদশ সৌদি অলস্টারকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে পিএসজি। এছাড়া কোপা দেল রের ম্যাচে এডি সুটাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ভিয়ারিয়ালকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
সৌদি আরবের দুই শীর্ষ ক্লাব আল নাসর ও আল হিলালের সম্মিলিত দল রিয়াদ অলস্টার একাদশের হয়ে নামেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার বিপরীতে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি, ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে মাঠে নামেন তাদের ক্লাব পিএসজির হয়ে। ম্যাচ শুরুর আগে বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ খ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় দুই দলের খেলোয়াড়দের। সঙ্গে ছিলেন পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফিও। এই ম্যাচ দিয়েই সৌদি ফুটবলে রোনালদোর অভিষেক হয়। মাঠে তারকাদের ছড়াছড়িতে প্রথম থেকেই রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে ম্যাচটি। ম্যাচের প্রথম দিকেই মেসির পা থেকে বল কেড়ে নেন আল নাসর তারকা রোনালদো। বিশ্বকাপজয়ী তারকা বল হারানোর জবাবটা দেন পরের বার বল পেয়েই। সতীর্থ নেইমারের কাছ থেকে বল পান তিনি। বল পেয়েই মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে লিড এনে দেন মেসি। গোল হজম করেই ম্যাচটি সমতায় আনার চেষ্টা করেন রোনালদোরা। আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকেন রোনালদো। গোল হজম করার কিছুক্ষণ পরেই তিনি শট নেন। তবে কেইলর নাভাস তার শট ঠেকিয়ে দেন। রোনালদোর দল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পিএসজির প্রতিটি আক্রমণে তৈরি হচ্ছিল হুমকিও। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় দুই দলই। কখনো চাপে তাকে রিয়াদ অলস্টার, আবার কখনো পিএসজি রক্ষণে ভীতি ছড়ায়। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ আসে পিএসজির হাতে। তবে নেইমারকে ঠেকিয়ে অলস্টারকে দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে বাঁচান সৌদি গোলরক্ষক।
এর মাঝে হুটহাট দেখা মিলছিল মেসি-রোনালদোর পায়ের ঝলকেরও। অলস্টারের ফরোয়ার্ডরা দুয়েকবার কাছাকাছি গিয়ে গোল না পেলেও গোল ঠেকানোর কাজটা বেশ ভালোভাবেই করছিলেন এ দলের গোলরক্ষক। ২৫ মিনিটে মেসির পাস থেকে গোল পান এমবাপ্পে। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয় সেই গোল।
৩২ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রোনালদোকে ফাউল করে বসেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। রেফারি রোনালদোদের পেনাল্টি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান। নিজের আদায় করা পেনাল্টিতে লক্ষ্য ভেদ করে ম্যাচে সমতা ফেরান সিআর সেভেন। ৩৯ মিনিটে পিএসজির জোয়ান বের্নাত লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৪৩ মিনিটে মার্কিনিউস গোল করে আবারো পিএসজিকে এগিয়ে দেন। ফলে প্রথমার্ধের প্রায় শেষ সময়ে খেলা জমে ওঠে। এর পরপরই নেইমারের পেনাল্টি ঠেকান আল-ওয়াইস। তাই ব্যবধান আরো বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে আবারো গোলের দেখা পান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচটিতে নিজের দ্বিতীয় ও শেষ গোল করে দলকে আবারো সমতায় ফেরান তিনি। রোমাঞ্চকর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও মাঠে টানটান উত্তেজনা বিরাজমান থাকে। বিরতির পর সমতা দিয়ে খেলা শুরু হলে দুই দলই চেষ্টা করছিল এগিয়ে যাওয়ার। এর মাঝে ৫৩ মিনিটে এমবাপ্পের দুর্দান্ত অ্যাসিস্টে জালে বল জড়ান সার্জিও রামোস। তার গোলে আবারো ৩-২ গোলে লিডে যায় পিএসজি। এই গোলের জবাব দিতেও খুব বেশি সময় নেয়নি অলস্টার। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দুর্দান্ত এক হেডে লক্ষ্য ভেদ করেন জাং হিউং সু।
ম্যাচে প্রতিবার মেসিরা লিডে গেলেও তাদের গোল শোধ করে বারবারই রোনালদোরা সমতা নিয়ে ম্যাচের শেষ সময়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। একটু পর ডি-বক্সের ভেতর হাতে বল লাগিয়ে পিএসজিকে পেনাল্টি উপহার দেয় অলস্টার। এবার পেনাল্টি শট নেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোল করে পিএসজিকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের ৬২ মিনিটে মেসি, রোনালদো এবং এমবাপ্পে তিনজনই কোচের নির্দেশে মাঠ ছাড়েন। তারা নেমে গেলে শান্ত হয়ে আসে খেলার উত্তাপ। ৭৯ মিনিটে পিএসজির হয়ে গোল করেন একিতিক। তার গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় মেসির ক্লাব। তারা তখন এগিয়ে থাকে ৫-৩ গোলে। ম্যাচের শেষ দিকে রিয়াদ অলস্টার একাদশ একটি গোল শোধ করতে পারলেও পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।

অপরদিকে কোপা দেল রের শেষ ষোলোতে এডি সুটাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন রাফিনিয়া, আনসু ফাতি ও ফ্রাংক কোসি। এছাড়া ভিয়ারিয়ালকে ৩-২ গোলে হারানোর ম্যাচে গোল পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র, এডার মিলিটাও এবং দানি ক্যাবলোরস। আর প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। জোড়া গোল পেয়েছেন রিয়াদ মাহরেজ। একটি করে গোল পেয়েছেন আর্লিং হলান্ড ও জুলিয়ান আলভারেজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়