সমাজকল্যাণমন্ত্রী : ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট

আগের সংবাদ

বৈশ্বিক সংকটে চাপা প্রত্যাবাসন : রোহিঙ্গা শরণার্থী

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে জয় পেল খুলনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের শিকার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। গতকাল বিপিএলের নবম আসরে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাদের ১৫৭ রানে থামিয়ে দেয় খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। ৪ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচটিতে জয় তুলে নেয় তামিম-জয়রা।
ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমেই ওপেনার ম্যাক্স ওডাউডকে হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ওভারেই তাকে সাজঘরে ফেরান সাইফুল্লাহ। ৮ বল খেলে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন ৬ রান। চাপের মুখে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ান উসমান খান ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লেতে তারা ৫৪ রান সংগ্রহ করেন। মাঝের ওভারেও রানরেট ১০ ছিল। উসমান খান ৩১ বলে ৪৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। তার সাজঘরে ফেরার পর রানের গাতি কমতে শুরু করে চট্টগ্রামের। প্রয় পাঁচ ওভার কোনো বাউন্ডারির স্বাদ পায়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ওয়াহাব রিয়াজের হাতে আউট হন আফিফ হোসেন। ৩১ বল খেলে তিনি ৩৫ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। এডিআরএসের সহায়তায় তার মাঠে থাকার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। তারপর সবার ভরসা হিসেবে মাঠে ছিলেন আফগান ব্যাটসম্যান দারউইশ রাসুলি। তবে তিনি ২৬ বলে ২৫ রান নিয়ে রানআউট হয়ে সমর্থকদের হতাশ করেন। ৯ বল খেলে ২১ রান সংগ্রহ করে অপরাজিত ছিলেন ফরহাদ রেজা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ হয় বিশ ওভারে ১৫৭ রান।
১৫৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা খুলনা টাইগার্সের খেলোয়াড়দের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না।
মুনিম শাহরিয়ার ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অফ স্পিনার শুভাগত হোমের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় তাদের অবস্থন শক্ত করে ক্ষতিটা পুষিয়ে দিয়েছেন। তামিম-মাহমুদুলের জুটিতে যোগ হয় ৭৬ বলে ১০৪ রান। তামিম ৩৭ বল খেলে ৪৪ সংগ্রহ করে নিহাদুজ্জামানের বলে আউট হন। ৪টি চার ও একটি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে।
মাহমুদুলের সুযোগ ছিল জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার। কিন্তু তিনিও স্পিনার নিহাদুজ্জামানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার ৪৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও একটি ছক্কা। জয় নিশ্চিত করতে বাকি কাজটা করেছেন দলের অধিনায়ক ইয়াসির আলী ও আজম খান। তাদের জুটি ২৮ বলে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করে জয় নিশ্চিত করে। এর মধ্যে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ২টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল খুলনার অধিনায়কের ইনিংসে। ১৬ বলে অপরাজিত ১৫ রান করে ইয়াসিরকে সঙ্গ দিয়েছেন আজম। এ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এ পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার।
এ ম্যাচে ৪৪ রানের ইনিংসে ৫ রান নিয়েই ৭ হাজার রান স্পর্শ করেছেন খুলনা টাইগার্সের তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেই তার ৭ হাজারি ক্লাবে পৌঁছানোর সুযোগ ছিল। মাত্র ৫ রানের জন্য সেই ম্যাচে তিনি আটকে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়লেন তামিম। বিশ্বের ৪০তম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি টি-টোয়েন্টিতে ৭ হাজার রান করেছেন। এ মাইলফলক স্পর্শ করতে তিনি ২৪২টি ইনিংস খেলেছেন। এই কীর্তি গড়ার পথে ৪৫টি ফিফটির সঙ্গে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১৯ সালের বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেন সর্বোচ্চ ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আর কারো তিনটি সেঞ্চুরিও নেই। দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তার চেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছেন ৭ জন ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে কম ১৮৭ ইনিংসে সাত হাজার রানের রেকর্ড পাকিস্তানের বাবর আজমের।
ঘরের মাঠে এটি চট্টগ্রামের তৃতীয় পরাজয়। চট্টগ্রামে তাদের প্রথম ম্যাচেও তারা ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছিল। এর আগের ম্যাচে তারা কুমিল্লা ভিক্টোারিয়ান্সের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয়। কুমিল্লার বিপক্ষে মাঠে নেমে আফিফরা মাত্র ১৩৫ রানের সংগ্রহ তৈরি করতে পেরেছিল। ম্যাচটিতে চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তিনি ২৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লা ১৫ বল হাতে রেখেই ১৩৭ রান নিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ওপেনার লিটন দাস। তিনি ২২ বল খেলে ৪০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ইনিংসটি গড়তে তিনি তিনটি ছয় ও চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। তাদের হয়ে তানভির, মোসাদ্দেক ও খুশদিল ২টি করে এবং মুকিদুল ইসলাম একটি উইকেট তোলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়