কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধার মামলায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের বিরুদ্ধে ‘দলীয় কার্যক্রমে’ যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা বহাল রেখেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন। জি এম কাদেরের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপার বহিস্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে অবৈধ ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। তবে জিএম কাদের আদালতে হাজির না হওয়ায় গত বছরের ৩০ অক্টোবর ‘পার্টির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা’র আদেশ দেন।
তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপিল (নি¤œ আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ) করেন জি এম কাদেরের আইনজীবীরা। এরপর এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আদালত গত ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন আদেশ না দিয়ে গতকাল দিন ধার্য করেন আদালত। এরপর গতকাল ফের শুনানি শেষে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পক্ষে আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে জাপার দলীয় কাজে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। এ বিষয়ে জি এম কাদেরের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম মজুমদার ভোরের কাগজকে বলেন, এ আদেশে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
মামলায় জিয়াউল হক মৃধা অভিযোগ করেন, জি এম কাদের নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান দাবি করে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর সম্মেলন ডাকেন। এর কিছুদিন আগে ১৯ ডিসেম্বর এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা কেন বেআইনি হবে না, মর্মে রুল দেন হাইকোর্ট। এটি বিচারাধীন অবস্থায় দলের কাউন্সিল করেন জি এম কাদের। এরপর তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হন। রুল থাকা অবস্থা জি এম কাদেরের পার্টির চেয়ারম্যান হওয়া কেন অবৈধ নয় অভিযোগ করা হয় মামলায়। এছাড়া জাপা থেকে নিজেকে বহিস্কার করাকে অবৈধ বলে দাবি করেন মৃধা।
এছাড়া একই অভিযোগে জাপার সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ২৩ অক্টোবর জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেআইনি ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে আরেকটি মামলা করেন। এদিকে মামলা দুটি খারিজের জন্য আবেদন করেছেন জি এম কাদেরের আইনজীবীরা। এ বিষয়ে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।