আরো এক মামলায় রফিকুল মাদানীর বিচার শুরু

আগের সংবাদ

নাশকতার শঙ্কায় সতর্ক আ.লীগ : ষড়যন্ত্র ঠেকাতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ ক্ষমতাসীন দলের, ‘পাল্টা কর্মসূচি’তে অস্বস্তি বিএনপির

পরের সংবাদ

ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ ও হত্যা নির্মম সামাজিক ব্যাধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জন্মের আগেই গর্ভস্থ ভ্রƒণের লিঙ্গ জানতে চাওয়া কিংবা জানা আজকের দিনে একটা সাধারণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ দেশের আইনে গর্ভস্থ ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং ভ্রƒণ হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু প্রতিদিনই নিষিদ্ধ এই দুটি কাজ নির্বিচারে চলছে। আগাম ভ্রƒণের লিঙ্গ জেনে নির্মমভাবে গর্ভের একটি প্রাণ হত্যা করছে। ফলে পৃথিবীর আলো দেখার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওরা। হ্যাঁ, তারা মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে মাতৃক্রোড়ে আসার অপেক্ষায় ছিল। মানুষ তার বিবেককে জলাঞ্জলি দিয়ে ভ্রƒণকে খুন করতে কুণ্ঠা বোধ করছে না। এটা যে কি জঘন্য অপরাধ, মহাপাপ, অন্যায় ও আইনবিরুদ্ধ, তাতে কেউ পরোয়া করছে না। এর জন্য মূলত দায়ী কে? অল্পবিস্তর সবাই। গর্ভস্থ ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং ভ্রƒণ হত্যা একটা নির্মম সামাজিক ব্যাধি। এই সামাজিক ব্যাধি দেখেও চোখ বুজে থাকতে পারে না সুশীল সমাজ। প্রসবপূর্ববর্তী ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে আজ বাধা পাচ্ছে কন্যাসন্তান জন্মদান। ক্রমেই হু হু করে বাড়ছে গর্ভস্থ ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং ভ্রƒণ হত্যা। আর এই সমস্যা সমাজে নিঃশব্দে যে ক্ষয় ডেকে আনছে সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিরবচ্ছিন্ন প্রচার জরুরি। গর্ভস্থ ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ এবং ভ্রƒণ হত্যা বন্ধ করার উপায় কী হতে পারে? আইন তো আছে। সেটাই শেষ কথা নয়। যারা আইনের তোয়াক্কা না করে চোরাগোপ্তা পথে ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ণয়ের জন্য ক্লিনিকে ভিড় জমাচ্ছেন এবং যেসব ডাক্তার বা টেকনিশিয়ান লিঙ্গ নির্ধারণ করছেন আইনের চোখে তারা সমান অপরাধী। এই অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গে যে ডাক্তার বা ব্যক্তিরা এই পাপাচারে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে নজির স্থাপন করতে না পারলে সমাজের বিপদ বাড়বে। সেইসঙ্গে নজরদারি বাড়িয়ে ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ণয়ের অনৈতিক ও বেআইনি ব্যবসাকে সমূলে উৎপাটন করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হোক। জন্মের আগে গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ যে একটি বড় অপরাধ, এ নিয়ে বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মশালা শুরু করা যেতে পারে স্বাস্থ্য পরিসেবার সঙ্গে জড়িত ক্লিনিক, নার্সিংহোম, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে। অবৈধভাবে ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের বাইরে লিখে রাখতে হবে এই নির্দেশনামা, ‘এখানে ভ্রƒণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয় না, এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এটা নিশ্চিত করবেন যে, হাসপাতালগুলোতে অবৈধ কিছু হচ্ছে না। হাতেনাতে ধরতে হবে কোন ক্লিনিকে চলছে অবৈধ লিঙ্গ নির্ধারণ এবং ভ্রƒণ হত্যা। সেটা করা যেতে পারে স্বয়ংসেবী সংস্থাগুলোর সাহায্যে ‘স্টিং-অপারেশন’ চালিয়ে, সেইসঙ্গে দরকার সামাজিক মানসিকতার বদলও।

মুনযির আকলাম : কোরপাই, কুমিল্লা।
facebook.com/moonzeerahcklham

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়