কাগজ প্রতিবেদক : ফেডারেশন কাপে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা কিংস। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে গতকাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে তারা। দিনের অপর ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী গোলশূন্য ড্র করেছে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে। ফলে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই থাকলো চট্টগ্রাম আবাহনী।
গতকাল উত্তেজনার পারদে ঠাসা ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে বসুন্ধরাই। এ জয়ের ফলে টানা দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে শেষ আট নিশ্চিত করেছে তারা। গতকাল প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছেন বসুন্ধরার আক্রমণভাগ। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই রবসন রবিনহোর গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বিশ্বনাথ ঘোষের থ্রো ইন থেকে বল পান আসরর গফুরভ। রবসনকে পাস দেন তিনি। বক্সের ভেতর মুক্তিযোদ্ধার তিন ফুটবলারকে কাটিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বসুন্ধরাকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেয় আসরর গফুরভ। মাঝ মাঠ থেকে রবসন রবিনহো একটু উঁচু করে থ্রæ বল বাড়ালে তা নিয়ন্ত্রণে গোলকিপারকে একা পেয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি গফুরভ।
৩৮ মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলের কারণে গোল হজম করে বসুন্ধরা। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধার খেলোয়াড় সোমা। সেই বল ক্লিয়ার করতে বেড়িয়ে এসেছিলেন রিমন। তবে সেখানে রিমনের আগেই রোমান বল পেয়ে চিপ করেন, উড়ন্ত বলেই ডান পায়ের শটে গোল করেন এমানুয়েল। ২-১ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।
ম্যাচের ৪৮ মিনিটেই রবসন বরিনহোর ফ্রি কিক থেকে হেডে ব্যবধান ৩-১ করেন সুমন রেজা। দুই মিনিট পরেই পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। বঙ্গের ভেতর ফাউলের শিকার হন রবসন। পেনাল্টির আগেই গোলরক্ষক পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধা। মনিরুল ইসলামের পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধার গোলবারের দায়িত্ব সামলাতে মাঠে আসেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ। রবসনের পেনাল্টি ক্রসবারে লাগলে সে যাত্রায় গোলের ব্যবধান বাড়েনি।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে সুমন রেজার পরিবর্তে মাঠে নামেন দরিয়েলতন গোমেজ। ৮২ মিনিটে তার গোলে ৪-১ ব্যবধানে লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝমাঠ থেকে টুটুল হোসেন বাদশার লং বল পেয়ে যান দরিয়েলতন। আলতো ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। ৮৭ মিনিটে সোলেইমানের গোলে ব্যবধান ৪-২ করে মুক্তিযোদ্ধা। ৮৮ মিনিটে বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন মুক্তিযোদ্ধার আবু বকর। সেখানে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি এমানুয়েল। ব্যবধান ৪-৩ হলে বসুন্ধরাকে চোখ রাঙালেও জয়ের দেখা মেলেনি তাদের।
শেষ পর্যন্ত এক গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।