দুদক মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন আব্বাস দম্পতি

আগের সংবাদ

শিল্প খাতে বাড়ল গ্যাসের দাম > সবচেয়ে বেশি বাড়ছে ক্ষুদ্রশিল্পে, মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

পরের সংবাদ

একনেকে সায় : মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ল বঙ্গবন্ধু টানেলের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাঙালির গর্ব আর অহংকারের অন্যতম এক স্থাপনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ টানেলই নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদও।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রকল্পটি সংশোধনের অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে সব মিলিয়ে এখন এ প্রকল্পে খরচ হবে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ করার জন্য এর আগে সময় দেয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।
একনেক বৈঠক শেষে ব্যয় বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানানো হয়, ‘প্রাইস কন্টিনজেন্সি’ খাতে প্রদত্ত অতিরিক্ত অর্থ সংশোধিত ডিপিপিতে প্রতিফলন, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের কারণে ব্যয় বৃদ্ধি, প্রকল্পের কার্যক্রমের পরিধি পরিবর্তন, সার্ভিস এরিয়ার তৈজসপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, আসবাবপত্র এবং গৃহসজ্জা সামগ্রী ক্রয়, নতুন অঙ্গ সংযোজন/বিয়োজন, ভ্যাট ও আইটি বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ আবারো বাড়ছে।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, টানেলটি নির্মাণকাজ প্রায় ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি যখন পাস হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। মেয়াদ বাড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন আবার খরচের পাশাপাশি মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়