নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

বিপিএলে সিলেটের পাঁচে পাঁচ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে গতকাল নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। প্রথমপর্বে টানা চার জয়ের পর দ্বিতীয় পর্বেও জয় পেলো তারা। আর হ্যাটট্রিক হারের দেখা পেল নাসিরের ঢাকা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাশরাফি বাহিনী। দ্বিতীয় ইনিংসের ওপেনিং জুটিতে দারুণ জুটি গড়েন মোহাম্মদ হারিস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিং জুটিতে তারা তোলেন ৫২ রান। শান্ত ২০ বলে ১২ রান করে নাসিরের বলে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এর কিছুক্ষণ পরে আবারো নাসিরের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ৩২ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান হারিস। ওয়ানডাউনে নামা জাকির হাসান ১ রানে আরাফাত সানির বলে ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দেন ইমাদ ওয়াশিম। দলীয় ৯৩ রানে ইমাদ ২০ বলে ১১ রান করে রানআউটরে শিকার হওয়ার পর দলীয় ১০৫ রানে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক। তিনি করেন ২৫ বলে ২৭ রান। শেষ ৩ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। তবে শেষ দিকে থিসারা পেরেরা এবং আকবর আলী ২ ওভারে ২৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে সহজ জয় এনে দেন। পেরেরা ২১ এবং আকবর ১০ রানে অপরাজিত থেকে খেলা শেষ করেন। ১৯ ওভার ২ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিলেট।
এর আগে সিলেটের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসিমর হোসেন। তবে অধিনায়ক নাসরি ছাড়া কেউই তেমন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংসের শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে কোন রান না করে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। তবে অপর ওপেনার উসমান গনি নিজের প্রান্ত আগলে রাখেন। ধীরগতিতে তিনি করেন ২৮ বলে ২৭ রান। ওয়ানডাউনে নামা দিলশান মুনাবির করেন ১৭ বলে ১৭। রবিন দাসও সৌম্যের মতোই ০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৫১ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ থেকে দলকে মুক্ত করতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট হাতে ধীর ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ২৩ বলে মাত্র ১৫ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হন মিঠুন। তবে শেষদিকে অধিনায়ক নাসির হোসেন এবং আরিফুলের রানে ভর করে কোনোরকম সংগ্রহ পায় ঢাকা। ৩১ বল থেকে ৩৯ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির। আর ১৬ বলে ২০ রান করা আরিফুলকে থামান মোহাম্মদ আমির। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম।
এবারের আসরে এখনো হারের মুখ দেখেনি সিলেট। ঢাকা পর্বের চার ম্যাচে চারটিতে জিতেছিল তারা। প্রথম ম্যাচে তারা হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে হারায় ৬ উইকেটে। তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারায় ৫ উইকেটে এবং চতুর্থ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারায় ৬২ রানে। এবার চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে আবারো ঢাকাকে হারাল ৫ উইকেটে। পাঁচ ম্যাচে পাঁচটিতে জিতে সেরার লড়াইয়ে শিরোপার দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে দলটি যেন অপ্রতিরোধ্য। তবে সিলেটের জন্য বড় ধাক্কা ছিলো দারুণ ছন্দে থাকা তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের ইনজুরি। ব্যাট হাতে চার ম্যাচে ৩ ফিফটিতে করেছেন ১৯৫ রান। অন্যদিকে ঢাকা ডমিনেটর্স জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও শেষ তিন ম্যাচে হেরে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পায়। নাসিরের নৈপুণ্যে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় দিয়ে আসর শুরু করে ঢাকা। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৬২ রানে, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে এবং শেষ ম্যাচে ঢাকার কাছে ৫ উইকেটে হারে তারা। অধিনায়ক নাসির ছাড়া জ্বলে উঠতে পারেননি অন্য কোন ব্যাটার। তবে সিলেটের প্রতি ম্যাচেই আলো ছড়াচ্ছেন নতুনরা। মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে যেন জাদু আছে। যেই দলের নেতৃত্ব দেন, সেই দলই হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। এ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়ে তিনবার চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয় করেছেন তিনি। সিলেট ৫ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্টে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ঢাকা ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়