নিউমার্কেটে সংঘর্ষ : তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

আগের সংবাদ

নামমাত্র প্রস্তুতিতে পাঠদান : বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী > বই, সহায়িকা ছাড়াই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ > নোট-গাইড ছাপার তোড়জোড়

পরের সংবাদ

কিশোরগঞ্জ : বিষক্রিয়ায় আ.লীগ নেতাসহ ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- কুলিয়ারচর পৌর একরামপুর মহল্লার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৫৫), কুলিয়ারচর পৌর ১নং ওয়ার্ড বড়খারচরের মৃত আব্দুর রহমানের (রউফ) ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান জজ (৫৭), পৌর দয়ারিয়া মহল্লার কৃষ্ণ বিশ্বাসের ছেলে কুলিয়ারচর বাজারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গোবিন্দ বিশ্বাস (৪৫) ও গাড়িচালক গাজিরচর গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৫০) এবং কুলিয়ারচর বাজার বেপারী পাড়ার মৃত আঙ্গুর মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনের চায়ের দোকানদার লিটন মিয়া (৪২)। এছাড়া একই ঘটনায় কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানও অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের মেডিকেল রিপোর্ট দেখার পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। পুলিশ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে পাঁচজনই এক ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর সবাই অসুস্থবোধ করেন। রবিবার সকালে কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোমবার ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। এরপর রবিবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হানকেও জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যান গিয়াস উদ্দিন। তার কিছু পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে জহির রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই তিনি মারা যান। সর্বশেষ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের চায়ের দোকানদার লিটন মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গোবিন্দ বিশ্বাসকেও বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা গেছেন। শাহজাহান মিয়া নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন। আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান উপজেলার বড়খারচর, গোবিন্দ বিশ্বাস একরামপুর এবং শাজাহান মিয়া ভাটি দোয়ারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, তারা আসলে কী কারণে মারা গেছেন এটা এখনো জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কারো পরিবারের পক্ষে থেকে কোনো অভিযোগও আসেনি। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেলের রেজিস্ট্রারে বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও মেডিকেলের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক মো. সেলিম বলেন, তারা কী খেয়ে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়