রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

সুপার কাপের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বার্সা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল বেটিসকে টাইব্রেকোরে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা। অপরদিকে সুপার কাপের ফাইনালে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাই আগামী রবিবার সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। এছাড়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফুলহামের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে চেলসি।
সৌদি আরবের কিং ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে বার্সা। তবে গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পোল্যান্ড তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কির গোলে এগিয়ে যায় জাভির শিষ্যরা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধ করে বেটিস। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে গোল শোধ করেন নাবিল ফেকির। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১-১ এ ড্র থাকলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে আগে আবারো এগিয়ে যায় বার্সা। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে গোল করে ব্যাবধান ২-১ করেন আনসু ফাতি। তবে তারা সেই লিডও ধরে রাখতে পারেনি। ম্যাচের ১০১ মিনিটে বেটিসকে আবারো সমতায় ফেরান লোরেন মরোন। ফলে ২-২ এর সমতা নিয়ে অতিরিক্ত সময় শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে নায়ক হয়ে যান বার্সেলোনার গোলরক্ষক টেন স্টেগান। দুটি দুর্দান্ত সেভ দিয়ে ফাইনালে তোলেন দলকে। বার্সেলোনার হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন লেভানদোভস্কি, ফ্র্যাঙ্ক কেসি, আনসু ফাতি এবং পেদ্রি। রিয়াল বেটিসের হয়ে উইলিয়াম জোস এবং লরেন মরোন গোল করলেও জুয়ানমি এবং উইলিয়াম কার্ভালহোর শট বাঁচিয়ে দেন স্টেগান। দল উঠে যায় সুপার কাপের ফাইনালে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা রিয়াল মাদ্রিদ।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ভ্যালেন্সিয়াকেও টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ। কিং ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গত বুধবার প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ১-১ সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে রিয়াল। স্প্যানিশ সুপার কাপে এ পর্যন্ত ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা। তবে দলটি গত মৌসুমে কোন শিরোপা জিততে পারেনি। তাই জাভির লক্ষ্য এবার শিরোপার দিকে। গত অক্টোবরে মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় রিয়ালের মাঠে হেরেছিল বার্সেলোনা। লা লিগার ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জিতেছিল কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। তাই এবার ফাইনালের আগে সতর্ক বার্সা কোচ জাভি। তিনি বলেন, ‘এটাই কাক্সিক্ষত ফাইনাল এবং আমরা এখন শিরোপার লক্ষ্যে এগিয়ে যাব। আমি সব সময় সেরাদের বিপক্ষে খেলতে চাই এবং তাদের হারাতে চাই। লড়াইটা যেহেতু শিরোপার এজন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এই ম্যাচের ফলাফল মৌসুমকে বদলে দেবে না। তবে এই ট্রফি জিততে পারলে আমরা মৌসুমের বাকি পথচলায় আত্মবিশ্বাস পাব এবং খুশি মনে এগিয়ে যাব। সামনে যাই হোক না কেন, আমরা মৌসুমের বাকি তিন শিরোপার জন্য লড়ে যাব।’
অপরদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আবারো হোঁচট খেয়েছে চেলসি। ফুলহামের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে গ্রাহাম পটারের শিষ্যরা। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে চেলসিতে খেলতে এসে প্রথম ম্যাচেই লাল কার্ডের দেখা পেয়েছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোয়া ফেলিক্স। ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট বজায় রাখে ফুলহাম। তারা এগিয়ে যায় ম্যাচের ২৫ মিনিটে। গোল করে ফুলহামকে লিড এনে দেন সাবেক চেলসি তারকা উইলিয়ান। এরপর গোল শোধ করতে মরিয়া হলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি তারা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মার্কো সিলভার শিষ্যরা। তবে দ্বিতীর্ধের শুরুতে সমতায় ফেরে চেলসি। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে কালিদু কৌলিবালি গোল করেন। এর মিনিট দশেক পরেই ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় ফুলহামের কেনি টেটেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জোয়া ফেলিক্স। ১০ জনের চেলসি এরপর আর কোনোভাবেই ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বিপক্ষের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ৭৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন কার্লোস ভিনিসিয়াস। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফুলহাম। ২০০৬ এর পর এই প্রথম চেলসিকে হারালো তারা। এছাড়া ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম টানা ৫টি ম্যাচ জিতলো ‘লিলি হোয়াইটস’ খ্যাত দলটি। এই হারে ১৮ ম্যাচে মাত্র ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশম স্থানে চেলসি। এছাড়া এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ফুলহাম।
এই ম্যাচে নামার আগে চেলসি কোচ আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘যে কোনো দলে কোচ হওয়া যেমন সম্মানের, ঠিক তেমনই এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমি মনে করি এটা সম্ভবত ফুটবলে সবচেয়ে কঠিন কাজ।
বাস্তবিক অর্থে চেলসি যে অবস্থায় আছে তা মোটেই ভালো নয়। ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারা এবং ভালোভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা হয়তো এখনো সে পর্যায়ে নেই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়