কাগজ প্রতিবেদক : আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহষ্পতিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির এমপি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সংরক্ষিত আসনের এমপি লুৎফুন নেসা খান, আওয়ামী লীগের এমপি অসীম কুমার উকিল, আমিরুল ইসলাম মিলন, আরমা দত্ত, মোহম্মদ শহিদুজ্জামান, শামসুর নাহার, শহিদুল ইসলাম বকুল, জোহরা আলাউদ্দিন, তাহমিনা বেগম এবং বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন। এমপিরা বলেছেন, বিএনপি কতিপয় দল দিয়ে রাজনীতির মাঠে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা পেছনের পথ দিয়ে, অসাংবিধানিক পথ দিয়ে নির্বাচনে জেতার পাঁয়তারা করছে। বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, নির্বাচনী বছর হিসেবে দ্রুত সংসদীয় এলাকায় ছোট ছোট প্রকল্প নিতে হবে। যাতে জনগণ উন্নয়নের আরো সুফল পায়। এছাড়া ভোটের আগে এমন নির্বাচনী ইশতেহার দিতে হবে যাতে জনগণের মনে দাগ পড়ে, তারা যেন মনে করতে পারে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার যোগ্যতা একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারেরই আছে।বিএনপির লোক দেখানো জনসভাকে ধ্বংসাত্মক প্রস্তুতি মন্তব্য করে এমপিরা বলেন, কোনো কোনো দল রাজনীতির নামে ভোটের নামে মাঠের পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা দলীয় কর্মীদের ধ্বংসাত্মক ও দেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের অত্যাচার ও দুর্নীতির কথা ভোলেনি। বিএনপি-জামায়াত আমলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ভোট ডাকাতির কথাও তুলে ধরেন তারা।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প নেয়া ও বাস্তবায়ন এক দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসী কাজ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সাহসী ও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছেন। এর ফলে দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের জনগণের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এছাড়া এদেশে মেট্রোরেল চলবে তা কে কবে ভেবেছিল? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর কাছে বিষ্ময়। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন, যা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশকে পাকিস্তান ঘরানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পরে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করে। দেশের উন্নয়ন করে। জনমনে শান্তি, স্বস্তি ফিরে আসে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে তিন তিনবার সরকার গঠনের ফলে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বে অনুকরণীয়। আমরা আশা করছি, সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেবেন।