প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে দেশে অতীতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানগুলোর চিত্র নতুন করে আশাবাদী হতে দেয় না। তবে, বাস্তবিকভাবে মাদক নির্মূলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ‘কমপ্রিহেন্সিভ অ্যাকশন প্ল্যান’ বা সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা নামে যে কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে সেটি প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা আশা করব, এ অভিযান অতীতের মতো বাহক কিংবা বিক্রেতা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কেন না, এবারো যদি মাদকের পেছনের কুশিলবরা অধরা থাকে, তাহলে সুফল মিলবে না। মাদক কারবারের মূল হোতাদের ধরতে হবে। গতকাল শুক্রবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদুল হক বলেন, মাদকের রুট সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই অবগত। পেছনের কুশিলবদের বিষয়েও তারা অবগত আছে। তাই, অভিযান শুরুর পরে প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত সীমান্তে মাদকের প্রবেশ বন্ধ করে এর পেছনের কুশীলব বা মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করা। পেছনের কুশীলবদের অনেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় আইনের আওতায় আনা চ্যালেঞ্জ হবে, এজন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। এরসঙ্গে জোর দিতে হবে নিরাময়ে। অর্থাৎ যারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে তাদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আর যাতে কেউ মাদকাসক্ত না হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে মাদকবিরোধী ভয়েস তৈরি করতে হবে। তাহলেই এ কার্যক্রম আলোর মুখ দেখবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমন্বিত কাজ হলেও নেতৃত্ব এককভাবে ডিএনসির হাতে রাখতে হবে। কারণ যে কাজ সবার, সেই কাজ কেউ করে না।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।