রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল বরিশাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়াল লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রামে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের সব সুবিধা নিল ফরচুন বরিশাল। একই মাঠে সাকিব আল হাসানদের বোলিংয়ের সামনে পাত্তাই পেল না শুভাগত হোমরা। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে বরিশাল শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে রানের চাকা সচল রাখে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। ইফতিখার আহমেদ ও ইব্রাহিম জাদরানের সুবাদে ২০২ রানের পাহাড় গড়ে বরিশাল। জবাবে ৪ উইকেট খুইয়ে ১৭৬ রানে থামে শুভাগত হোমরা। ফলে ২৬ রানে জিতেছে সাকিববাহিনী। ইফতিখার ২৬ বলে ৫৭ রান করেন। এমনকি পাকিস্তানি ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। এক কথায় বলা যায়, চট্টগ্রাম সমর্থকদের হতাশায় ডোবাল বরিশাল। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে লড়াই করবে সাকিববাহিনী। এই ম্যাচেও জয়ের বিকল্প ভাবতে নারাজ বরিশাল।
এদিকে গতকাল টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের দলপতি শুভাগত। আর ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করে বরিশাল। এদিন এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আবু জায়েদ রাহীর প্রথম ওভারেই কাভার দিয়ে পরপর তিনটি চার মারেন তিনি। আগের ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এবার দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি মিরাজ। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রান করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে। বরিশালের রান তখন ৩ ওভারে ৩৩ রান। তিন নম্বরে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে টানা দুটি চার মারেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় ৮ রান করা বরিশাল অধিনায়ককে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বিজয়। ২১ বলে ৫ চারে ৩০ রান করে দলীয় ৭১ রানে ফেরেন তিনি। বিজয়ের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। তবে ইব্রাহীম জাদরানের সঙ্গে মিলে তা সচল রাখার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। মাহমুদউল্লাহর বিদায়েই ভাঙে এই জুটি। জিয়াউর রহমানের বলে উন্মুক্ত চাঁদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ব্যাটিংয়ের ধার বাড়িয়ে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি জাদরানও।
৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে রাহীর শিকার হন তিনি। তাতে বরিশালের বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা ফিকে হতে শুরু করে। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রাহী। কিন্তু এরপরই ম্যাচের পাল্লা আবারো বরিশালের দিকে নিয়ে আসেন ইফতিখার। রাহীর সেই ওভারের শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান এই পাকিস্তানি ব্যাটার। তাছাড়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা শেষ ওভারে দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ রান নিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দুইশ ছাড় করান তিনি। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রাহী।
এছাড়া বরিশালের দেয়া ২০২ রানের জবাবে শুরুটা ভালো করলেও মধ্যে খেই হারায় চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। এমনকি পাওয়ার প্লে’তে ওভারপ্রতি প্রায় ১০ করে রান তুলতে থাকা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খান ঝলক দেখান এবারো। কিন্তু তাকে বিপদ হয়ে উঠতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। দলীয় ৪৮ রানে পয়েন্টে ফিল্ডিং করা সানজামুল ইসলামের দুর্দান্ত একটি ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন উসমান। ১৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপরই ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে শুরু করে চট্টগ্রাম। দলীয় ৮১ রানে আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দউদকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২৯ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন ও’দউদ। চাপের মুখে অনেকক্ষণ ক্রিজে টিকে থেকেও কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রæব। উন্মুক্ত চাঁদও একই পথে হেঁটেছেন। তার ২১ বলে ১৬ রানের ইনিংস চট্টগ্রামকে জয়ের কক্ষপথ থেকে আরো ছিটকে দেয়। আফিফও সমান বল খেলে ২৮ রানে ফেরেন খালেদ আহমেদের বলে। শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ইনিংসের পরও ৪ উইকেটে ১৭৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি চট্টগ্রাম। ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কা অপরাজিত ৪৭ রান করেন জিয়া। বরিশালের হয়ে সাকিব, খালেদ, রাব্বি, জানাত সবাই একটি করে উইকেট নেন। তাছাড়া ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে প্রথম ম্যাচে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারল না চট্টগ্রাম। পাহাড়সম লক্ষ্যতাড়ায় নেমে শুরুতে একটু লড়াই করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শুভাগতরা। শেষদিকে জিয়াউর ও আফিফ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়