সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

সংসদে শেখ হাসিনা : আ.লীগ সরকারকে উৎখাতের শক্তি এখনো তৈরি হয়নি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের মতো কোন শক্তি এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়নি বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এদেশের মাটি ও মানুষের কাছ থেকে। কাজেই আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত আছে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়াসহ অনেকেই চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে। কিন্তু পারেননি। পারবেও না ইনশাল্লাহ। আওয়ামী লীগে টিকে আছে-থাকবে। এ সময় তিনি বলেন, আপনারা ঘাবড়াবেন না, ঘাবড়ানোর কিছু নেই, আমরা (আ.লীগ) আছি না। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে জাতীয় পার্টির এই এমপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আজ এক এগারো। এই এক এগারোর ভয়ে কিন্তু আমরা অস্থির। কারণ দেশের যে পরিস্থিতি, আমরা জানি যে, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বোঝার যে ক্ষমতা এবং অনুমানের যে ক্ষমতা, প্রজ্ঞাবান নেতা- আমাদের দেশে আছে, এক এগারো আর আসবে না। তবু আমার জিজ্ঞাসা, সব পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে পা বাড়ানোর বোধ হয় এটিই সময়। আপনি কী মনে করেন?  
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এ কথা বলতে পারি যে বিএনপির চরম দুশাসনের কারণে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারণে এবং ভুয়া ভোটার তালিকা করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার খায়েশের কারণে এই ঘটনা (১/১১) ঘটেছিল। একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল, ঠিক সেইভাবে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অত্যাচার-নির্যাতন চলেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর হামলাসহ দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। এরপর ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরির মাধ্যমে তারা আবারো তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। সেই ক্ষমতায় আসার পেছনে একটি কারণ ছিল, আমাদের গ্যাস বিক্রি করার একটা প্রস্তাব যেটাতে আমি রাজি ছিলাম না। তবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজি হয়ে মুচলেকা দেন। তার ফলে তাকে ক্ষমতায় আসতে সহযোগিতা করে। ২০০১ আওয়ামী লীগ কিন্তু ভোটের অঙ্কে বেশি ভোট পেয়েছে। কিন্তু সিট আমরা পেলাম না। পরিল্পিতভাবে

আমাদের হারানো হয়েছিল। যেহেতু অনেক বড় বড় দেশ এর পেছনে ছিল কাজেই এটা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
তিনি বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে জরুরি অবস্থা আসে। জরুরি অবস্থা আসার পর সবার আগে আমাকেই গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে আমাকে দেশে আসতে দেবে না। আমি গিয়েছি আমার ছেলের বউয়ের বাচ্চা হবে সেখানে। তবে কোনো বাধা আমাকে আটকাতে পারেনি। ফিরে আসার পরপরই প্রথমদিকে হাউস অ্যারেস্ট, তারপরে একেবারে সংসদ ভবনের এলাকায় একটি বাড়িতে নির্জন সেলে আমাকে রাখা হয়। একটার পর একটা মামলা। বিএপির আমলে ১২টি মামলা দিয়েছিল, পরবর্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ই নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন উঠায়নি। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল, বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। আমরা মহাজোট করেছিলাম, নির্বাচনে বিএনপি ২৯টি সিট আর একটা সিট পেয়েছিল পরে পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে। এটা অনেকেই ভুলেই গেছে, আর বাকি সিট আমাদের মহাজোটের জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ পায়, আমাদের ১৪ দলীয় জোট জয় লাভ করে। এরপর ২০১৪ এর নির্বাচন, ২০১৮ এর নির্বাচনে আমরা জয় লাভ করে আবার সরকারে আসি।
তিনি বলেন, এরপরে ১৮ সালে নির্বাচনে যোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। কারণ ছিল একটি আসনে তারা দুইটা তিনটা করে মনোনয়ন দেয়। একটা আসনে লন্ডন থেকে, একটা যায় ওই নয়াপল্টন অফিস থেকে আরেকটা গুলশান থেকে। লন্ডন থেকে মেসেজ আসে যে মোটা অঙ্কের টাকা না দিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। এইভাবে যারা নির্বাচন করতে চায় তারা আর নির্বাচনে কতদিন টিকে থাকে। নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। বিভিন্নভাবে তারা অপপ্রচার চালিয়ে তারা এটা করতে পেরেছে। কিন্তু জনগণের আস্থা বিশ্বাস এখনো আওয়ামী লীগের ওপর আছে। করোনায় ভ্যাকসিন দেয়া, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যার সুফল তো সাধারণ মানুষ পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সত্যিকার যারা দুর্নীতি করেছে তারা কিন্তু ধরা খেয়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তারপরও আমাদের কম ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়নি। সরকার হটানোর জন্য ২০১৩, ২০১৪ ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন, মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা, এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। মানে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা। এতে জনগণের সহায়তা ও সমর্থন পায়নি। কিন্তু আমরা সরকারে আছি। আমাদের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানে জনগণের সেবা করা, জনগণের উন্নয়ন করা। আমি একটা কথা বলতে চাই, একটানা আমরা ১৪ বছর ক্ষমতায় আছি, ১৪ বছর আগে দেশের অবস্থা কী ছিল। স্মরণ করতে হবে সে সময় ১/১১ সরকার ছিল। তখন দেশের অবস্থা কেমন ছিল। ’৭৫ সালের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল, ভোটের ক্ষেত্রে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে। সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দেয়া, হ্যাঁ এর বাক্স আছে না এর বাক্স নেই। ভোটার ভোট দিতে গেছে তার আগেই হয়ে গেছে। এসব খতিয়ে দেখা দরকার।
তিনি বলেন, এখন তো নির্বাচন তেমন নেই। কয়েকদিন আগে নির্বাচন হয়ে গেল। তারপরও প্রশ্ন তোলে কারা? যারা নির্বাচনকে কুলষিত করেছে, যারা নির্বাচনের সব ধরনের প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল তারাই আবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের প্রশ্ন তোলার কি অধিকার আছে? আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা দেয় তা রাখে, তারা যে কথা দেয় তা পালন করে। ২০২১ সালে ২০২১ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাব, পেয়েছি। যতটুকু করতে পারব ততটুকু করেছি। তাই তিনি প্রশ্নকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই, ঘাবড়াবেন না, আমরা আছি না।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা : অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সংসদে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, যারা মজুতদারি, কালোবাজারি এবং যারা এলসি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু ব্যবসায়ী রমজান মাসে কিংবা বিভিন্ন চাহিদার মাসে তারা যে করেই হোক জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে উৎসব-পার্বনে সব সময় তারা দাম কমায়। আর আমাদের দেশে দেখি উল্টো। শুধু তাই নয়, অনেক সময় তারা পণ্য আমদানি করতে একটু ঢিলেমি করে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে চাহিদা বাড়িয়ে তারপর তারা ব্যবসা করতে চায়। এটা অমানবিক। যারা মজুতদারি, কালোবাজারি এবং যারা এলসি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারছি যে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দারুণ অভাব দেখা দিবে; এজন্য আমরা শুরু থেকেই সবাইকে আহ্বান করছি প্রত্যেকে যার এক ইঞ্চি অনাবাদি জমি না থাকে। যত অনাবাদি জমি আছে আবাদ করা হোক এবং উৎপাদন করা হোক।
দুর্নীতি কোথায় কবে স্পষ্ট বলার আহ্বান : কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন দুর্নীতি বিষয়ে মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে হচ্ছে সংসদ সদস্য বিরোধী দলের শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি যেসব অভিযোগ এনেছেন তা একেবারেই অমূলক। তিনি বলেন, আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে আমি আমার প্রশ্নকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করছি কোথায়, কখন, কতটুকু দুর্নীতি হয়েছে সেই কথাটা তাকে এখানে (সংসদে) স্পষ্ট বলতে হবে। তার জবাব আমি এখানে দেব। একটি কথা আমি এখানে স্পষ্ট বলতে চাই ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল। সেখানে কি কোন দুর্নীতি হয়েছিল? দুর্নীতি হয় নাই। তারা প্রমাণ করতে পারে নাই। এটা শুধু আমার কথা না। কানাডার ফেডারেল কোর্টে যে মামলা হয় সেই রায়ে বলা হয়েছে সব অভিযোগে মিথ্যা, কোনো অভিযোগই সত্য না। সবগুলোই ভুয়া।
বিএনপি জামায়াতের আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন হ্রাস করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ পেত না। দিনের পর দিন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। ইন্ডাস্ট্রিগুলো চলতে পারত না। গ্যাসের জন্য হাহাকার ছিল। আমরা এসে এসব সমস্যার সমাধান করি। সে অনুযায়ী আমরা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। এরপরও যারা বেশি বলবেন তাদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও সংসদে হুমকি দেন প্রধানমন্ত্রী।
তামাক চাষ বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাভাবিকভাবে মানুষ যখন চাষ করে তখন অর্থকরি ফসলের দিকে দৃষ্টি দেয়। এ কথা ঠিক আমাদের অনেক জমি অনাবাদি পড়ে আছে। তবে অনাবাদি পড়ে আছে সেটা আবাদের চেষ্টা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের আহসানুল ইসলাম টিটোর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এ কারণে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং গরিব ও নি¤œআয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও সচল রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছি। পদক্ষেপগুলো হলো- আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গত বছরের ৫ আগস্ট গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয়/পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়