ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে বিদেশ থেকে মোট ১৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭০৪ কোটি ৫৩ লাখ ইউএস ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯ লাখ ডলার, মার্চে ১ হাজার ৮৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২ হাজার ৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, মে মাসে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, জুনে ১ হাজার ৮৩৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ২ হাজার ৯৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার, আগস্টে ২ হাজার ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৫৩৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১ হাজার ৫২৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৩ লাখ ইউএস ডলার।
এ সময় সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে, যার পরিমাণ ৩ হাজার ৭০৯ কোটি ১০ লাখ ইউএস ডলার। আর ইরান থেকে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে, যার পরিমাণ মাত্র ৪ লাখ ইউএস ডলার।
এমপি মোহাম্মদ হাবিব হাসানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, কৃষি ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ২৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এসব অনাদায়ী ঋণ আদায়ে ব্যাংক তার নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
ঋণের ক্ষেত্রে ২০৩২ সাল পর্যন্ত অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত : বেগম লুৎফুন নেসা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের ঝুঁকিসীমার মধ্যে নেই। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) সামষ্টিক অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়াদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক ঋণের ঝুঁকিসীমা নির্ণয় করে থাকেন। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের মতে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ঝুঁকিসীমা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। তিনি জানান, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত কোনো অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ১৬.৯ শতাংশের ওপরে কখনো ওঠেনি বলেও জানান তিনি। তাই বলা চলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা হার অনুযায়ী ঝুঁকিসীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে। অর্থমন্ত্রী জানান, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩২ সাল পর্যন্ত দেশীয় ঋণসহ বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়