সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন : ২০২২ > ১৯ হাজার অভিযোগের মধ্যে অনুসন্ধানে ৯০১

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ যাচাইবাছাই শেষে ৯০১টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য নিয়েছে সংস্থাটি, যা মোট অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রাপ্ত অভিযোগের ৯৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ অনুসন্ধানের জন্য আমলেই নিতে পারেনি দুদক।
অনুসন্ধান তদন্তের ওপর ভিত্তি করে ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেই বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানের জন্য কম অভিযোগ নেয়ার কারণ হিসেবে দুদকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয়নি।
দুদকে জমা পড়া অভিযোগ ও অনুসন্ধানের পরিসংখ্যান মতে, গত ৬ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অভিযোগ জমা পড়েছে ২০২২ সালে। করোনাপরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে বছরটিতে। অনুসন্ধানের দিক থেকেও ৬ বছরের দ্বিতীয় সর্বনি¤œসংখ্যক অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে দুদক।
অভিযোগের তুলনায় অনুসন্ধান কম হওয়ার বিষয়ে দুদক কমিশনার জহুরল হক বলেন, দুদকে যেসব অভিযোগ আসে, এর একটি বড় অংশ কমিশনের তফসিলভুক্ত না। এছাড়া বেনামে বা ভিত্তিহীন অভিযোগ আসে অনেক বেশি।

সেগুলো আইডেন্টিফাই করা যায় না। অনেকে শত্রæতাবশত অভিযোগ করেন। দুদকের প্রাথমিক বাছাইয়ে সেগুলোর সত্যতা মেলে না। এ কারণে অভিযোগের সংখ্যা বাড়লেও সেটি অনুসন্ধানের জন্য নিতে পারে না দুদক।
দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২১ সালে সংস্থাটিতে অভিযোগ জমা পড়ে ১৪ হাজার ৭৮৯টি। অভিযোগ থেকে অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয় ৫৩৩টি, যা মোট প্রাপ্ত অভিযোগের ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম এটি। ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৪৮৯টি অভিযোগ জমা পড়ে। অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয় ৮২২টি, যা মোট অভিযোগের ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
২০১৯ সালে ২১ হাজার ৩৭১টি অভিযোগ জমা পড়ে, যা গত ৬ বছরের সর্বোচ্চ। এই সময়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৭১০টি, যা মোট অভিযোগের ৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৬০৬টি, অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয় ১ হাজার ২৬৫টি, যা মোট অভিযোগের ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০১৭ সালে অভিযোগ জমা পড়ে ১৭ হাজার ৯৮৩টি। অনুসন্ধানের জন্য নেয়া হয় ৯৩৭টি, যা মোট অভিযোগের ৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
২০২২ সালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সরাসরি অভিযোগ জমা পড়েছে ১১ হাজার ৭৯৬টি, যা মোট অভিযোগের ৬০ শতাংশ। সরকারি দপ্তর বা সংস্থা থেকে অভিযোগ এসেছে ৯৬৭টি, যা প্রাপ্ত অভিযোগের ৫ শতাংশ। বেসরকারি দপ্তর সংস্থা থেকে ৩৮৭টি (২ শতাংশ), পত্রপত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদন থেকে এক হাজার ৩৫৪টি (৭ শতাংশ), বিভাগীয় কার্যালয় থেকে এক হাজার ৫৪৭টি (৮ শতাংশ), এনফোর্সমেন্ট থেকে ৫৮০টি (৩ শতাংশ) ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে ২ হাজার ৭০৭টি (১৪ শতাংশ) অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়