সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

এপ্রিলে জাপান সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছরের এপ্রিলে জাপান সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির জাপান সফরের প্রস্তাবের জবাবে তিনি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এদিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। গত ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে তা হয়নি।
নজরুল ইসলাম বলেন, সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মার্চ-এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও এপ্রিলে সফরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সাক্ষাতে দুই দেশের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধন রয়েছে। এ সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে রাষ্ট্রদূত কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
কিমিনোরি বলেন, ভবিষ্যৎ সম্পর্ক হবে কৌশলগত। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দুই দেশের ব্যবসাবাণিজ্য স¤প্রসারণ এবং বিনিয়োগ আনতে কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসাবাণিজ্য বাড়াতে বিদ্যমান জাপান বাংলাদেশ কাঠামোকে শক্তিশালী করতে কাজ করব। বাংলাদেশে কোর জাপানি বিনিয়োগ আনতে এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করব। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় এই রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে। জাপান বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় এবং আসিয়ান ফোরামে তুলবে।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করতে জাইকা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করছে। এছাড়া জাপানের কিছু এনজিও এসব এলাকায় কাজ করছে।
মেট্রোরেল নির্মাণে সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মেট্রোরেল জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আশা করছি, মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলো নির্মাণেও জাপান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। সাবরাং পর্যটন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ আহ্বান করেন শেখ হাসিনা। তিনি জাপানকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়ারও আমন্ত্রণ জানান। আগামী বছর উদ্বোধন হতে যাওয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও একটি জাপানি কোম্পানিকে দেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ এশিয়ার বিনিয়োগকারী দেশগুলোর জন্য সেরা বিনিয়োগ প্যাকেজ অফার করে উল্লেখ করে জাপানকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের পণ্য রপ্তানি করে মুনাফা অর্জন করতে পারে। জাপানের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু। জাপানের অবস্থান তার (প্রধানমন্ত্রী) এবং তার পরিবারের সদস্যদের হৃদয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়