ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

১৪ বাড়ির খবর মিথ্যা : সংবাদ সম্মেলনে দাবি > যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি নেই ওয়াসা এমডির, একটি আছে স্ত্রীর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি নিয়ে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, পত্রিকায় যে ৫টি বাড়ির ঠিকানা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে আমরা স্ত্রীর কেনা অ্যাপার্টমেন্ট, বাড়ি না। সেই অ্যাপার্টমেন্ট ২০২০ সালে কেনা হয়েছে। আমার স্ত্রী ওখানে ২২ বছর ধরে সরকারি চাকরি করে। সে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, আমিও নাগরিক, আমার ছেলে নাগরিক। আমি ওয়াসাতে এসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হইনি। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক থাকা অবস্থাতেই ওয়াসাতে যোগ দিয়েছিলাম। যেহেতু আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। একটি স্বার্থন্বেষী মহল উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে বানোয়াট, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ধ্যান ধারণার ওপর প্রতিবেদনটি করে। বাস্তবতার সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো সামঞ্জস্য নেই।
কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে নিজ কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখা দেন তিনি। তবে কিছু গণমাধ্যমকে ওয়াসা ভবনে প্রবেশ করতে দেয়া

হয়নি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর যারা টেলিফোনে জানতে চেয়েছিলে তাদেরই সময় দিয়েছি। যেহেতু আমার রুমে জায়গা কম- তাই সবাইকে প্রবেশ করতে দিতে পারিনি। তবে কেউ চাইলে আগামীকাল (আজ) বুধবার সময় দিতে পারব।
তিনি বলেন, দেশে আমার এক টাকার সম্পত্তিও নেই। আল্লাহ আমাকে অনেক দিক থেকে দিয়েছেন তাই ঢাকাতে আমার কোনো জমি কিনতে হয়নি। আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির যে সম্পদ পেয়েছে ওটাই আমার সম্পদ। আমি জীবনে কখনো হারাম পয়সা খাইনি। আমার সমস্ত আয় হালাল। আমেরিকাতে যেটা ছিল সেটাও হালাল। এখনো যেটা আয় করি সেটা হালাল। ভবিষ্যতে যতদিন বাঁচব হালালই থাকব।
ওয়াসার এমডি বলেন, আমি যদি দুর্নীতি করি সরকার আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না কেন? কোনো প্রকল্পে যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে ১৩ বছরে একটিও প্রমাণ হলো না যে, আমি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আগেও তো তদন্ত করেছে। কোথাও তো প্রমাণ মেলেনি। ঢাকা ওয়াসার উন্নয়ন সহযোগী দাতা সংস্থাগুলোও একবারও দেখল না। কোনো উন্নয়ন সহযোগী এ বিষয়ে প্রশ্নই তোলেনি। আমার কর্মকাণ্ড দ্বারা প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী কোনোভাবেই বিব্রত হননি। বরং তারা প্রশংসা করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি প্রসঙ্গে তাকসিম এ খান বলেন, আমেরিকাতে ১৪টি বাড়ির খবর সর্বৈব মিথ্যা কথা। বাকি যে ৪টা বাড়ির কথা বলা হয়েছে চারটাতেই আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় ভাড়া থাকতেন। শুধু ৫৩১ লুই স্ট্রিটের ৩ নম্বর ইউনিটের অ্যাপার্টমেন্ট আমার স্ত্রীর। এছাড়া বাকিগুলোতে আমার স্ত্রী ভাড়া থাকত। আর নিউয়র্কে আমি কখনো থাকিনি। আমার স্ত্রীও বসবাস করেননি। আমরা সব সময় লস অ্যাঞ্জেলসে ছিলাম। নিউয়র্কে বসবাস করেছে আমাদের ছেলে। সে আমেরিকার নাগরিক এবং সেখানেই পড়াশোনা করেছে। সে অত্যন্ত ভালো চাকরি করে। ৫৩৫ কেন স্টন এভিনিউতে যে বাড়ির কথা লেখা সেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট আমার ছেলে কিনেছে। তার প্রচুর আয়।
তিনি বলেন, প্রকাশিত খবরটি উদ্দেশেপ্রণোদিত। এটার কোনো ভিত্তি নেই। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার কথা যেটা বলা হয়েছে, সেটাও স্ট্যান্ডবাজি। যিনি দুদকে অভিযোগ করেছেন আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আসলে একটা গোষ্ঠী এটা করে। নিশ্চয়ই তাদের স্বার্থে কোথাও না কোথাও আঘাত লাগছে। ঢাকা শহরের মানুষ এখন ঠিকমতো পানি পায়। এটা অনেকে মানতে পারে না। ঠিকাদার বা যাদের স্বার্থে আঘাত হানছে তারাই এগুলো করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়