‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ : অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দিয়ে হরিলুটের পাঁয়তারা ব্যর্থ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের শুরু থেকেই স্থানীয় কৃষক, বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যমকর্মীরা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের অভিযোগ করে আসছিলেন। প্রতিবছর এ রকম অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও প্রাক্কলনে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয় জেলা কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির একাধিক সভায়। কিন্তু এতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর বেশির ভাগ বাঁধই সংস্কারের আওতায় থাকে। নতুন বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প একেবারেই কম। পুরনো বাঁধগুলো কোনো বছরই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এসব বাঁধ অল্প টাকাতেই সংস্কার করা সম্ভব। চলতি বছর এসব বাঁধের প্রাক্কলনে অতিরিক্ত কাজ দেখিয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে সরকারি অর্থ লোপাটের পাঁয়তারা করে আসছিল একটি চক্র।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার দেখার হাওরে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) প্রায় ৯৮ লাখ টাকার অপ্রয়োজনীয় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়ও এ রকম প্রায় ৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প আটকে রেখেছেন জেলা প্রশাসক।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৬২৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা। এজন্য ৯০৪টি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। জেলা কমিটি ইতোমধ্যে ৫৮০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০টি প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে। যে প্রকল্পগুলো জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হয়নি তার অনেকগুলোর প্রয়োজনীয়তা এখনো যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার বিকালে এক প্রশ্নের জবাবে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদাদের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে সরকারি অর্থের অপচয় করতে দেয়া হবে না। হাওরের ফসল রক্ষা করার জন্য যেখানে বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন কেবল সেখানেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো জেলায় অধিকাংশ বাঁধের কাজ শুরু করা যায়নি। স্থানীয় কৃষক নেতৃবৃন্দ বলছেন, কাজ শুরু করতে বিলম্ব হলে শেষ দিকে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করার কারণে কাজের মান ঠিক থাকবে না। তাই দ্রুত সব বাঁধের কাজ শুরু করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা। সেই সঙ্গে কাজের মান বজায় রাখার বিষয়ে বিশেষভাবে নজরদারি করার কথাও বলেন নেতৃবৃন্দ।
তারা আরো বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এ জেলার স্পর্শকাতর একটি কাজ। বড় বা মাঝারি বন্যা হলেই হাওরের ফসল ডুবে যায়। এবার যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখার কথা বলেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়