‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

রওশন-কাদের : জাপায় বিভক্তির প্রশ্নই ওঠে না, প্রার্থী ৩শ আসনে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টিতে (জাপা) কোনো বিভক্তি নেই জানিয়ে দলটিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও দলটির চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বিবৃতিতে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়ে পার্টিকে সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গতকাল সোমবার উভয় নেতা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমে জাতীয় পার্টির বিভক্তি সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর কিছু খবর প্রকাশিত হয়ে আসছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই যে, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তির প্রশ্নই ওঠে না। আমরা দুজনেই ঐক্যবদ্ধভাবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বদ্ধপরিকর। তারা আরো বলেন, আমরা জাতীয় পার্টিকে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে। সে লক্ষ্যে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার জন্য পার্টিকে সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ঘোষণা করছি। বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে পার্টিকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান দুই শীর্ষ নেতা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে টানাপড়েন চলে আসছে। সে সময় রওশন এরশাদ বিদেশে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকেই তার নামে বিভিন্ন বিবৃতি আসত। একপর্যায়ে দলের কারো সঙ্গে কথা না বলে ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির সম্মেলন আহ্বান করেন রওশন এরশাদ। এরপর বিভক্তি আরো বাড়তে থাকে। দলের রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরপন্থি হিসেবে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়ে যায়। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগই জি এম কাদেরর পক্ষে অবস্থান নেন। তারা রওশন এরশাদকে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা পদ থেকে বাদ দিয়ে জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পিকারকে চিঠি দেন। সেই চিঠি দেয়ার কয়েকদিন পর বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্পিকারকে চিঠি দেন। এতে সংকট আরো প্রকট হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের রাঙ্গাকে চিফ হুইপ থেকে সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি দলের প্রেসিডিয়াম পদ থেকেও বহিষ্কার করেন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্ত না আসায় তারা সংসদের অধিবেশন থেকে বের হয়ে যান। এরই একপর্যায়ে সিঙ্গাপুর থেকে রওশন এরশাদ ২৬ নভেম্বর ডাকা জাতীয় পার্টির সম্মেলন স্থগিত করেন। এরপর বরফ গলতে শুরু করে। রওশন দেশে ফেরার পর জি এম কাদেরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়। উভয় নেতা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানেও রওশন ও কাদের একসঙ্গেই মঞ্চে ছিলেন। সেদিনও জাতীয় পার্টিকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। এরপরও বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাতীয় পার্টির বিভক্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে গতকাল যৌথ বিবৃতি আসে দুই নেতার পক্ষ থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়