‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

মেট্রোরেল ব্যবহারে যতœবানহওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর : বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা পেল সরকার > শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মেট্রোরেল নির্মাণেও বাধা এসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা কাজে বাধা দেয়া দেশের কিছু মানুষের চরিত্র। শুধু পদ্মা সেতু নয়, মেট্রোরেল নির্মাণেও বাধা এসেছিল। এগুলো যতেœর সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের যতেœর সঙ্গে চলাচল করতে হবে। রাষ্ট্রীয় এই সম্পদের গুরুত্ব বুঝতে হবে। বিমানবন্দর এলাকার যানজট নিরসনের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত আন্ডারপাস নির্মাণ করে দেয়া হবে।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সবাই যেন সার্বিক যতœ নিয়ে মেট্রোরেল ব্যবহার করেন সে জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আপনারা জানেন, গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে মানুষের বিপুল আগ্রহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা যেন এটা প্রচার করি- ব্যবহারে সচেতন হতে। সার্বিক যতœ নিয়ে যেন আমরা ব্যবহার করি, সে বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করে মেট্রোরেল। সীমিত পরিসরে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করার পর মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর ফানুস এসে পড়ায় ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সীমিত পরিসরে চলাচলের মাধ্যমে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে মেট্রোরেল থেকে ৮৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে। আর যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ৯০ হাজার।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা পেল সরকার : বিশেষ প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ এবং সমন্বয়ে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০২৩ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিং এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন খসড়া আইনটির বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আইনটি ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর অধ্যাদেশ আকারে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছিলেন। এবার আইন আকারে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হলো। কারণ তখন সংসদ অধিবেশন চলমান ছিল না। বতর্মান আইন অনুযায়ী জ্বালানি বা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হলে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গণশুনানি করে দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। যা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা কঠিন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিলে ৯০ দিন অপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে, সে জন্য বর্তমান আইনের ৩৪ ধারার সঙ্গে কিছু ধারা যোগ করা হয়েছে। সেখানে মূল বিষয় হলো সরকার প্রয়োজন বোধে বিশেষ

কারণে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এছাড়া জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি-২০২২ এর খসড়ায়ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশে যে কৃষিপণ্য উৎপাদন হয় তা বাজারজাত করতে কিছু কৌশল নির্ধারণ করা লক্ষ্য এই আইনের। কৃষি বিপণন নীতিমালা আছে কিন্তু কৃষি প্রক্রিয়াজাত করার নীতিমালা নেই। সবাই জানেন সারাবিশ্বে বাংলাদেশের একটি কৃষি বাজার তৈরি হয়েছে। সে জন্য এই পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে পদক্ষেপ নেয়া। যেন এটি আন্তর্জাতিকমানের হয়। আইনটিতে কৃষি ব্যবসায় বাজার, বাজার তথ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী, কমিউনিটিভিত্তিক, গ্রুপভিত্তিক জোরদার, কৃষি পণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি ব্যবহার মাধ্যমে যুব উন্নয়ন সৃষ্টি করা। কৃষি ব্যবসার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়ন করা, ডিজিটাল মার্কেট, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করতে ব্যবস্থা। আমদানি রপ্তানি ব্যবস্থায় সহযোগিতা, কৃষিভিত্তিক ব্যবসা ও শিল্প প্রসারে সহায়তা করা। সব মিলিয়ে ১৯টি বিষয় নিয়ে আইনটি কাজ করবে। তিনি আরো জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাটের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এখন থেকে পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য হবে।
শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন : শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে বলেন, আজকে এ বছরের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বর্তমান সরকারের ১০০৮তম সভা। আজকের সভায় বিষয় উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৫টি ছিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। আর ৩টি ছিল নীতি নির্ধারণী কাজ। তিনি বলেন, শরিয়তপুরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের নবম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে এবং দেশের ৫৪তম বিশ্ববিদ্যালয়। সে জন্য শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই আইনের মূল বৈশিষ্ট্য- অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে রকম আছে অনেকটা সে রকমই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়