‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

ঝিকরগাছায় তীব্র শীতেই চলছে বোরো রোপণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতাউর রহমান জসি, ঝিকরগাছা (যশোর) থেকে : ঝিকরগাছায় চলছে তীব্র শীত। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে গত রবিবার যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেই ঝিকরগাছায় চলছে বোরো ধান রোপণের কাজ। জমিতে পানি সেচ, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন এবং সেই চারা তৈরি, জমিতে রোপণের কাজ চলছে পুরোদমে।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, উপজেলায় এবার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও উফশী জাতের কাটারি, ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, ব্রি-ধান ৫০, ব্রি-ধান ৮১, জিরাশাইল ইত্যাদি জাতের ধান রোপণ করা হবে। আমন ধানের ভালো দাম পাওয়ায় বোরো ধান চাষ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পুরোদমে বোরো ধান রোপণের কাজ চলছে। তীব্র শীতের মাঝেও কাদাপানির মধ্যে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মাঠে বিঘাপ্রতি ১ হাজার ৮শ টাকা চুক্তিতে ধান রোপণের কাজ করছে কৃষক। কৃষক হানিফা মোড়ল জানান, পাতা তৈরি হয়ে গেছে। এজন্য শীতের মধ্যেও ধান রোপণ করে ফেলছেন। শীত একটু কমে গেলেই এই ধান গাছ দ্রুত বেড়ে উঠবে। একই গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। ইতোমধ্যে দুই বিঘা রড মিনিকেট ধান (স্থানীয় জাত) রোপণ শেষ হয়েছে। একটু আগেভাগে ধান রোপণ করায় খরচ একটু কম হচ্ছে বলে তিনি জানান। মির্জাপুর গ্রামের রোস্তম সরদার জানান, তার দেড় বিঘা জমি রোপণ হয়ে গেছে। এখনো তিন বিঘা রোপণ করতে হবে। সেসব জমিতে পানি দিয়ে চাষ চলছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সব রোপণ হয়ে যাবে। কাশিপুর গ্রামের শের আলী জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে রোপণ শেষ করেছেন। আরো তিন বিঘা রোপণ করার জন্য জমি চাষ করেছেন।
সরজমিন দেখা যায়, শীতের মধ্যেও ধান রোপণের কাজ করছেন ইব্রাহিম, ওলিয়ার, আলতাফ, সোহাগ, জাহিদুল, আলমসহ অনেক কৃষক। কৃষক ওলিয়ার বলেন, আমাদের কাজই এটা। শীত থাকলেও কিছু করার নেই। কাজের সময় কাজ করতে হবে। তবে প্রচণ্ড শীত আর বাতাসে কষ্ট হচ্ছে। হাত-পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে শীতে। এই মাঠের গভীর নলকূপের মালিক আমীর হোসেন বলেন, আমার স্কিমে ১৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ হবে। পানি ছেড়ে দিয়েছি। কৃষকরা ইচ্ছামতো জমি চাষ করে ধান রোপণ করছে। শীতের কারণে এখনো পুরোদমে চাষ শুরু হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, এ বছর ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হবে। সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলায় ৭ হাজার কৃষককে উফশী জাতের ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৪০০ কৃষককে ২ কেজি উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলায় পুরোদমে বোরো ধান রোপণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে প্রচণ্ড শীতের কারণে রোপণ কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়