‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

আরো ১৫ রুটের বাসে ই-টিকেটিং চালু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর আরো ১৫টি রুটের বাসে ই-টিকেটিং চালু হচ্ছে আজ থেকে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নগরীর সব বাস রুটে ই-টিকেটিং পদ্ধতিতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে আরো ১৫টি রুটে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এই ১৫টি রুটে বাসের সংখ্যা ৭১১টি। ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালুর পর ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ হবে। ইতিপূর্বে আমরা ৩০টি রুটে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করেছি। এখন মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকেটিং চালু হবে। সব মিলিয়ে ৪৫টি রুটে ই-টিকেটিং পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় করা হবে। মালিক সমিতির মহাসচিব জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীর এবং শহরতলীর সব বাসে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করা হবে। শতভাগ ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করতে পেরেছি তা বলব না, এখনো কিছু অনিয়ম আছে। আমরা অনিয়ম দূর করার চেষ্টা করছি। ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসবে।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমরা এখনো সমাধান করতে পারিনি। তবে দীর্ঘ সময় পর গেটলক, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করতে পেরেছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল। বিভিন্ন সময় মোট ২১টি সার্কুলার দিয়েছি। ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে রাস্তায় মাসের পর মাস ডিউটি করিয়েছি এবং আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। শুরুর দিকে যখন ই-টিকিট পদ্ধতি শুরু হয় তখন মালিকরা আয় ঠিকমতো পেত না। ফলে মালিকরা গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে পরিবহন মালিকদের নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকেটিং মেশিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, ই-টিকেটিংয়ের বিষয়টি নজরদারির জন্য পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এ জন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে ৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে স্পেশাল চেকার হিসেবে মনিটরিং করবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।
ই-টিকেটিং চালু হলে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর যে অসম প্রতিযোগিতা সেগুলো বন্ধ হবে কিনা এমন প্রশ্নে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকেটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা থাকবে। ই-টিকেটিংয়ের জন্য আরো অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করে তাদের দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রজাপতি পরিবহন, পরিস্থান পরিবহন, অছিম পরিবহন, নূর-ই-মক্কা পরিবহন ও বসুমতির বাসে ই-টিকেট সুবিধা চালু হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর থেকে মিরপুর অঞ্চলের ৩০টি কোম্পানি ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসে।
আজ থেকে মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মালঞ্চ পরিবহন লিমিটেড, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (১) (রুট-এ-১৪১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (২) (রুট-এ-২৯২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, বিকাশ পরিবহন লিমিটেড, গাবতলী এক্সপ্রেস লিমিটেড, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোং লিমিটেড, ভিআইপি অটো মোবাইলস লিমিটেড, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন লিমিটেড এবং স্বপ্ন পরিবহন লিমিটেডের বাসে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া আদায় হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়