‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

আইপিএম পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান কৃষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : টঙ্গীবাড়ীতে আইপিএম পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়িত পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় বেতকা ইউনিয়নে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন করা হয়েছে। এ বিশাল কর্মকাণ্ডে ২০টি কৃষক দলের মাধ্যমে ৫০০ জন কৃষক নিয়ে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নানা রকমের বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো বিষমুক্ত জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।
জানা যায়, ১০০ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, খিরাই, বাঙ্গী, স্কোয়াস চাষ হচ্ছে উপজেলার বেতকা ইউনিয়নে। প্রকল্পভুক্ত এসব সবজি ক্ষেতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট। ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ, নেট হাউস, জৈব বালাই নাশক, ইকোমেকস, বায়োট্রিন ইত্যাদি। প্রকল্পভুক্ত কৃষকের বিনামূল্যে সবজির চারা উৎপাদনের জন্য বীজ, কেঁচো সার, সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক ও নগদ অর্থ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এসব ব্যবহার পদ্ধতির ওপর কৃষাণ-কৃষাণীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। শেখানো হয়েছে ফাঁদ স্থাপনের কৌশল। ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় খরচ অনেক কম হয়েছে। এমনকি ফলনও অনেক বেশি হয়েছে। অল্প খরচে এসব সবজি উৎপাদন করতে পেরে খুশি কৃষক।
টমেটো চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার জমিতে একটি নেট হাউস রয়েছে। সেখানে কোনো ধরনের স্প্রে করিনি, নেটের মাধ্যমে থাকা শসা খুব সুন্দর হয়েছে। আগামীতেও নেটে চাষ করব ফসল উৎপাদন বাড়াবে এবং দেখতে অনেক সুন্দর হবে। এভাবে আইপিএম পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে আশাবাদী কৃষকরা একদিন ভালো দাম পাবে এবং পর্যায়ক্রমে আইপিএম পদ্ধতি চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০টি উপজেলায় ২০টি ইউনিয়কে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়ন একটি। এখানে ৫০০ কৃষককে ২০টি গ্রুপে বিভক্ত করে সমন্বিত বালাই ব্যস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে।

জেলা কষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম বলেন, এ বছর জেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। সবজি চাষের আওতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে বেতকা ইউনিয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। এখানে রাসায়নিক কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ সবজি হিসেবে এখানকার উৎপাদিত সবজি বাজারে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়