কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

সিংগাইর : নাগর আলী হত্যা মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : সৌদি আরবে ১৬ বছর কাটিয়েছেন। শুধু ছুটিতেই কয়েক বছর পর পর দেশে আসতেন ৩ সন্তানের জনক নাগর আলী (৫০)। এবার ৩ মাস আগে দেশে ফিরেই জমি সংক্রান্ত বিরোধের বলি হলেন তিনি। নিহতের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামে। তিনি খুন হওয়ার পর কেটে গেল ১০ দিন। মূল আসামিরা এখানো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে পুলিশ বলছে, মামলার এজাহারভুক্ত বেগম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
নিহতের পরিবারের দাবি, গত দুই বছর ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ মীমাংসার জন্য পুলিশের মধ্যস্থতায় থানায় একাধিকবার সালিশ-দরবার হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। গত ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় খড়ের পালা দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রবাস ফেরত নাগর আলী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায় প্রতিবেশী মৃত দুখাই পালের ছেলে মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন। এতে মারাত্মক আহত হন নাগর আলীসহ তার পরিবারের ৪ সদস্য। তাদের ভর্তি করা হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থার উন্নতি হলেও গত ২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান নাগর আলী। নিহতের ছোট ভাই বাবর আলী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতেই এজাহারভুক্ত বেগম নামে এক নারী আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামিরা এখানো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার দুই দিন পর তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তাদের মামলা রেকর্ড করতে বিলম্ব করেছে। যে কারণে আসামিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এখন ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শংকিত পরিবারটি। সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য নিহতের পরিবারের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা নিয়ে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা নেয়ার ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি করা হয়নি। বরং আসামিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হলেও সেটা রেকর্ড করা হয়নি।
মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই বাবর আলী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় আব্দুল মুন্নাফ মেম্বারের বোনের জামাই লুৎফর রহমান ও তার পরিবার মামলার আসামি। এ কারণে শেল্টার পাচ্ছে খুনিরা।
সায়েস্তা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ‘আমার বোনের জামাই আসামি হওয়ায় আমাকে দোষারোপ করবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আমি আসামিদের শেল্টার দেয়াতো দূরের কথা, তাদের সঙ্গে আমার কোনো রকম যোগাযোগ নেই। থানা পুলিশ তার মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে নজরদারিতে রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লিবাস চক্রবর্তী বলেন, আসামি গ্রেপ্তারে দিনরাত অভিযান চলছে। আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, আসামি গ্রেপ্তারে কঠিন অভিযান অব্যাহত আছে। যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়