৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রোডমার্চ শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে কয়েক বছর ধরে যে আন্দোলন চলছে তার অংশ হিসেবে রোড মার্চ করা হচ্ছে **

চট্টগ্রাম অফিস : ‘ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই; ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ এই স্লোগান নিয়ে ঢাকা অভিমুখী রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রæতি পূরণে সাত দফা দাবিতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এই রোড মার্চ শুরু হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র চত্বর থেকে দুদিনব্যাপী এই রোড মার্চ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত প্রমুখ।
এ সময় সন্তু লারমা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে কয়েক বছর ধরে যে আন্দোলন চলছে তার অংশ হিসেবে রোড মার্চ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষ নানাভাবে শোষিত, বঞ্চিত ও প্রতারিত। এই রোড মার্চ কর্মসূচি শুধু আনুষ্ঠিনকতা নয়, এর মধ্য দিয়ে অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের আদিবাসী সমাজ, সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সমাজ সম্মিলিতভাবে সাত দফা দাবি আদায়ে সংগ্রাম করবে। এসব দাবির মধ্যে আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের নানা সামাজিক ও ধর্মীয় দাবির প্রতিফলন দেখি। এসব দাবি আদায়ের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবনের শোষণ বঞ্চনার অবসানের দিকে যেতে পারব বলে আশা করি।
এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, রোড মার্চের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেয়া মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়বই। আমাদের শত্রæ ধর্মান্ধ জামাতিরা। মির্জা ফখরুল বলেছেন- পাকিস্তান ভালো ছিল। ফখরুল আপনি পাকিস্তান চলে যান। সাকা পুত্র বলেছেন- প্রধানমন্ত্রীকে সাকার কবরে ক্ষমা চাইতে হবে। এটা তোমাদের দেশ না। পাকিস্তান চলে যাও। তোমার পিতা, পিতামহ পাকিস্তানি ভাবধারার। এ দেশে জিয়াউর রহমান আইএসআইর প্রতিনিধি, চর হিসেবে কাজ করছিল। সামনে নির্বাচন, সে শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল।
এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সর্বস্তরের কর্মী-সর্মথকদের আহ্বান জানান। চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বর থেকে এ রোড মার্চ শুরু হয়ে চট্টগ্রাম গেট, সীতাকুণ্ড মোড়, মিরসরাইয়ের বারইয়ার হাট, ফেনীর মহিপাল এবং কুমিল্লা শহরে পথসভা শেষে সেখানে যাত্রা বিরতি করে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা শহরের টাউন হল থেকে আবার রোডমার্চ শুরু হবে এবং আলেয়ার চরে বিশ্বরোডের বিজয় ভাস্কর্যের সামনে, চান্দিনায়, দাউদকান্দিতে, ভবেরচরে, চিটাগাং রোডে (নবীনগর রাস্তার মাথায়) পথসভা শেষে ঢাকার শাহবাগের জমায়েতের সঙ্গে মিলবে। এ রোড মার্চে অংশ নেবে কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ জেলা, উত্তর জেলা, ফেনী, নোয়াখালী, ল²ীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বাংলাদেশের সব বিভাগের জেলা থেকে নিজ নিজ রুটে রোড মার্চ সহকারে ঢাকায় এসে পৌঁছবে। পরে পদযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেয়ার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদীবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় ২০১৮ সালের সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। রোড মার্চের দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়