৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

লাজ ফার্মার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ডিজি ড্রাগ : ওষুধ আইন পাস হতে পারে চলতি সংসদেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৪০ বছর পর দেশে পাস হতে যাচ্ছে ওষুধ আইন। এরই মধ্যে নতুন আইনটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং পেয়েছে। চলতি সংসদেই এই আইন পাস হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি ড্রাগ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
গতকাল শুক্রবার সাভারের হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্য তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে আমাদের দেশে ওষুধের ফার্মেসি অনেক বেশি। দেড় লাখের মতো ফার্মেসির নিবন্ধন আমরা দিয়েছি। কিন্তু দেখা গেছে আরো এক লাখ ফার্মেসি আছে। এতেই বোঝা যায় দেশে ফার্মেসির অবস্থা কেমন। তবে এরই মধ্যে লাজ ফার্মা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। একটা আদর্শ মান তারা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।
নতুন আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, মানসম্মত ও নিরাপদ ওষুধ জনগণকে সরবরাহ করা ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব। এতদিন আইন আমাদের হাতে ছিল না। নতুন আইনে সেই প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। নতুন আইনে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়া অনুমতি ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও মাদকজাতীয় যে ওষুধ তা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যেন আইনটি প্রয়োগ করতে পারে সেই ক্ষমতাও নতুন এই আইনে রয়েছে। আইনটি পাস হলে নিয়ম মেনে ও মান বজায় রেখে যেসব ফার্মেসি ওষুধ বিক্রি করছে না তাদের বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হবে। এত ফার্মেসির দরকার নেই।
অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মাথাব্যথাসহ যে কোনো কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এর ফলে

অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। বিশ্বব্যাপী সামনে যা মহামারি রূপ নেবে। আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।
লাজ ফার্মার  প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, লাজফার্মা লিমিটেড একটি প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বাধিক বিশ্বস্ত খুচরা ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান যারা মানসম্মত ওষুধ বিক্রি করে। আমাদের মূল লক্ষ্য সেবা, ব্যবসা নয়। আমরাই দেশের প্রথম সার্টিফায়েড মডেল ফার্মেসি যারা নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করে।
লাজ ফার্মার চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহফুজা রহমান বলেন, সারাদেশে লাজ ফার্মার ৮০টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। এসব ব্রাঞ্চের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। কাজে যোগ দেয়ার আগে লাজ ফার্মার কর্মীরা ন্যায়-নীতি অনুসরণের যে অঙ্গীকার করেছেন তা তাদের অনুসরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে হবে। কারো বিরুদ্ধে যেন কোনো অনিয়মের অভিযোগ না আসে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মো. রফিকউজ্জামান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়