ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতার ভাইয়ের গুলিতে রিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামি হৃদয় হোসেন (২১)। তিনি ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মামলার তিন নম্বর আসামি। গতকাল বিকালে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করে।
র্যাব জানায়, মামলাটি দায়ের হওয়ার পর র?্যাব আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে। দুপুরে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অপারেশন কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নসিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনা চালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, তাদের মধ্যে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামে এক রিকশাচালক নিহত হন। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামে আরো দুইজন আহত হন।
ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের লাশ দাফন হয়েছে। আহতদের মধ্যে রকি হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমন হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলাটিতে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন প্রধান আসামি ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।