সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

শীতের তীব্রতায়ও ভিড় বাড়ছে বাণিজ্যমেলায়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের পাঁচ দিন পেরোল। ধীরে ধীরে বেচা-বিক্রি বাড়ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে এই বাণিজ্যমেলায়। দেশি-বিদেশি পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিক্রিতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে এবারের বাণিজ্য মেলা। মেলার গেটে ঢুকেই কেউ ছবি তুলছেন, কেউ বা মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে লাইভে স্বজনদের দেখাচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণের দৃশ্য। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। পাশাপাশি কেনাকাটাও করছেন। পছন্দের জিনিসপত্র কিনছেন দরদাম করে। কেউ কেউ জিনিসপত্র দেখে শুনে যাচ্ছেন পরে এসে কেনার আশায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেলায় শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যাতায়াত সমস্যা না থাকায় এবারের মেলা প্রথম সপ্তাহেই জমে উঠতে শুরু করেছে। এতে ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলা বেশি জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা তাদের। দিন যত গড়াবে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফার্নিচার এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর স্টল ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। খাদ্যসামগ্রীর স্টলগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনাও বেড়েছে।
স্টলমালিক, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে খোলামেলা পরিবেশ। এই এলাকায় এমনও মানুষ আছে যারা কখনো আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলায় যাননি, তারাও এখানে আসছেন। মেলার সৌন্দর্যই হলো ক্রেতা-দর্শনার্থী। তাদের আগমন যত বাড়বে মেলার সৌন্দর্য তত বাড়বে। তাদের প্রত্যাশা, সামনে ক্রেতা-দর্শনার্থী আরো বাড়বে। মেলা ক্রেতামুখী করতে এবারও কমদামে নিজেদের প্রোডাক্ট ছেড়েছে বিভিন্ন কোম্পানি, রয়েছে বিশেষ ছাড়াও। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও বেড়েছে প্রচুর। স্টলে বিক্রি ও পণ্য উপস্থাপন কার্যক্রম পুরো দমে চালু হয়ে গেছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়ে অবশেষে হাসি ফুটছে বিক্রেতাদের মুখে।
রাজধানীর মালিবাগ থেকে মেলায় আসা সোলায়মান সালমান বলেন, প্রতিবার মেলায় ঘুরতে আসি। এবারের মেলায় প্রথম এলাম। মেলার পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখার ইচ্ছা আছে। ঘুরতে ঘুরতে কিছু পছন্দ হলে কিনব। তবে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য কেনার জন্য মেলায় আসিনি। মেলায় আসার মূল উদ্দেশ্য পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরি করা। তিনি বলেন, মেলার প্রথম দিন পরিবার নিয়ে আসার ইচ্ছা ছিল। সময়-সুযোগ করতে না পারায় আসা হয়নি। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গৃহস্থালি সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা আছে।
গাজী প্যাভিলিয়েনে কথা হয় গাজী গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (করপোরেট সেলস) এনায়েত উল্লাহ সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, দর্শনার্থীরা আসছেন, দেখছেন। মেলায় সময় যত গড়ায়, বিক্রিও তত বাড়ে। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আশানুরূপ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবার মেলায় গাজীর প্রতিটি পণ্যেই ১০ শতাংশ ছাড় রয়েছে বলেও জানান তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলায় ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। আশা করি বাণিজ্য মেলা ব্যবসা সফল হবে। আমাদের আন্তরিকতার সবটুকু দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মেলা পরিচালনা করছি। এ বছর সড়ক ব্যবস্থা অনেকটা ভালো। সহজে দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে পারছেন। দর্শনার্থীরা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন এমনকি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও যেন না ঘটে সেজন্য মেলায় ভেতর ও বাইরে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। বাড়তি নজরদারির জন্য মেলার ভিতরে ও বাইরের বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে ২৭০টি সিসি ক্যামেরা। মেলায় এবারো সাধারণ, প্রিমিয়াম, সংরক্ষিত, ফুড স্টল ও রেস্তোরাঁসহ ১৩ ক্যাটাগরিতে স্টল রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন।
ইপিবি সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী আরো বলেন, এবার দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি। দেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারতসহ ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গতবার শিশুপার্ক ছিল না। এবার মিনি শিশুপার্ক রয়েছে। ফুডকোর্ট নিচে চলে গেছে। পরিবেশও ভালো হয়েছে। পরিসর বড় হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবারের মেলাটা আরো বেশি জমজমাট হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়