কাগজ প্রতিবেদক : গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন বলে জানান তিনি। ইভিএমে ভোট হওয়ার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা থাকায় স্বচ্ছ নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ভোট শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন সিইসি।
ব্যাপক কড়াকড়ি আর নজরদারির মধ্যে গতকাল বুধবার সেখানে ইভিএমে পুনর্ভোট হয়। আগেরবারের মতোই ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় ১৪৫টি কেন্দ্রের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশনাররা।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইলেকটোরাল গভর্ন্যান্স ও সিসি ক্যামেরা একটা নতুন সংযোজন। এটা অনেক তীক্ষè ও কার্যকর হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটে সিসি ক্যামেরা ইতিবাচক।
সিইসি বলেন, এবারের ভোটের শুরুতেও পরিবেশ সুন্দর ছিল, সমাপ্তিটাও চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে সুন্দর ভোট হয়েছে। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে। ইভিএমে ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি। ভোট বিকাল সাড়ে ৪টায় শেষে হয়েছে, সব কিছু গুছাচ্ছে দেখেছি। অপেক্ষমাণ কেউ না থাকায় ভোট নিতে এখানে দেরিও হবে না আর। ভোটার উপস্থিতি গড়ে ৩৫ শতাংশের কম-বেশি হতে পারে। চূড়ান্তভাবে পরে জানা যাবে।
গাইবান্ধায় প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, মাঠে প্রশাসন পুলিশ কর্মকর্তা- তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। আপনারা দেখেছেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে, নিরপেক্ষভাবে কাজ করে দেখিয়েছেন। এখানে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এটা আমাদের সক্ষমতা, জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সমৃদ্ধ করবে।
এর আগে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের পুনর্ভোটে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গোপন কক্ষে এবার আর ‘ডাকাত’ দেখতে পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আরেক নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট ভালো হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ খুব সুন্দর। যদিও ভোটারের উপস্থিতি একটু কম। আমরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পরিস্থিতি দেখছি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উপনির্বাচন, তাও আবার দ্বিতীয় দফায় হচ্ছে, এটাও একটা কারণ। তারপর আবার উত্তরাঞ্চলে শীত। গাইবান্ধায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলিসিয়াস ছিল। কনকনে শীতের মধ্যে ভোটের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।