সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

শত কোটির লটারি জয় : হাতিয়ার রাইফুলের বাড়িতে খুশির বন্যা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. ফিরোজ উদ্দিন, হাতিয়া (নোয়াখালী) থেকে : সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) শত কোটি টাকার লটারি জয়ী মুহাম্মদ রাইফুল ইসলাম এখন তার নিজ এলাকা হাতিয়াসহ সারাদেশে প্রশংসায় ভাসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তবে ‘বিগ টিকেট’ র‌্যাফেল ড্রয়ে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা বিজয়ী হয়েও পুরো টাকা একা পাচ্ছেন না রাইফুল। এ টাকা হাতে আসার পর তিনিসহ মোট ১৭ জন তা ভাগ করে নেবেন।
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আসলাম মিয়ার বাড়ির ছেলে রাইফুল ইসলাম। তার বাবা খুরশেদ আলম ২৪ বছর আগে এবং মা ৯ বছর আগে মারা যান। জীবিকার তাগিদে ২০১১ সালে দুবাই পাড়ি দেন রাইফুল। সেখানে তিনি একটি কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে কাজ করছেন। ২ বছর আগে মামাতো বোন ইসরাত জাহান রিসার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ফাতেমা বেগম নামে তাদের এক বছর বয়সি একটি সন্তান রয়েছে। ৪ ভাইয়ের মধ্যে রাইফুল তৃতীয়। তার বড় ভাই মো. বাবুল উদ্দীন একটি আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার। মেঝ ভাই মো. সাইফুল আলম স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। ছোট ভাই মো. রুবেল উদ্দিন দুবাই থাকেন।
এদিকে, রাইফুলের লটারি জয়ের খবরে তার বাড়িতে বইছে খুশির বন্যা। তার স্ত্রী ইসরাত জাহান রিসা বলেন, আল্লাহর রহমতে আমার স্বামী লটারিতে জয়ী হয়েছেন, এতে আমরা অনেক খুশি। এ মাসের ১০ তারিখে তার দেশে আসার কথা। বিমানের টিকেটও কিনে রেখেছেন। এখন তিনি যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরে আসেন এ জন্য সবাই দোয়া করবেন।
রাইফুলের স্ত্রী আরো বলেন, সংসারের বোঝা টানতে গিয়ে তার নিজ বাড়িতে জায়গা থাকলেও এতদিন ঘর করতে পারেননি। এবার দেশে এলে ঘরের কাজ ধরবেন ভেবেছেন। বিয়ের পর দেশে যতদিন ছিলেন তার অধিকাংশ সময় আমার বাবার বাড়িতেই থেকেছেন।
রাইফুল ইসলামের শ্বশুর কালাম উদ্দিন বলেন, ২ বছর আগে রাইফুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তার চলাফেরা খুব সাধারণ। তার লটারি জয়ের খবরে আমরা অনেক আনন্দিত। 
জানা গেছে, গত ৯ বছর ধরেই রাইফুল লটারির টিকেট কিনে চলেছেন। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর এ টিকেট অনলাইনে কিনেন তিনি। রাইফুলসহ ১৭ জন মিলে ২০ শেয়ারে ৫শ দিরহাম মূল্যের এ টিকেটটি কেনা হয়। লটারিতে জেতা ১০৫ কোটি টাকা এখন ২০ ভাগ করে ১৭ জনের মধ্যে বণ্টন হবে। রাইফুলের সঙ্গে লটারি জয়ী আরো একজনের বাড়ি হাতিয়ার রামচরণে। তার নাম মো. নিজাম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩ দশক আগে ১৯৯২ সালে আবুধাবি এয়ারপোর্ট ও শহরের উন্নয়নের জন্য ‘বিগ টিকেট’ লটারি চালু করা হয়। প্রতি মাসে এই লটারির ড্র হয়। প্রথমস্থান পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ প্রতি মাসে পরিবর্তন হয়। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে জানুয়ারির প্রথম পুরস্কার ছিল ৩৫ লাখ দিরহাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়