কাগজ প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীনদের হটাতে না পারলে দেশ থেকে ‘অনাচার-অত্যাচার’ দূর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা হটাতে চাই। তা না হলে যত রকমের অন্যায় আছে- তা আমরা দূরীভূত করতে পারব না। অর্থাৎ গণতন্ত্র না থাকলে স্বাভাবিকভাবে কোনো সেক্টরই সুন্দরভাবে চলতে পারে না। সেটাই আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। দলটি স্বাধীনতার পরে করেছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে, এখন আবার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা এসব কথা বলেন। এ সময় লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে বাইবেল পাঠের পর বড়দিনের কেক কাটা হয়। বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে এবং সুব্রত চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, বিজন কান্তি সরকার ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা।
মোশাররফ বলেন, আমাদের এই বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে হবে। আশা করি দেশের – খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করব। জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফেরত দিতে পারব।
বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ ২৭ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেখানে ১৬ নম্বর দফায় আছে, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।  তিনি বলেন, বিএনপির যে আদর্শ, দলের যে গঠনতন্ত্র তার মধ্যে ২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, ধর্ম বিশ্বাস এবং ধর্মপ্রিয়তা- বাংলাদেশি জাতির এক মহান একটি চিরঞ্জীব বৈশিষ্ট্য। আমরা যার যার ধর্মকে বিশ্বাস করি, শ্রদ্ধা করি, মানি। আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।