কাগজ প্রতিবেদক : জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন তিন সাহিত্যিক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দেয়া হয় চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি জয় গোস্বামী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ ও সম্পাদক জুলফিকার রাসেল। মঞ্চে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ও জেমকন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
এ বছর ‘স্তব্ধতা যারা শিখে গেছে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি কামাল চৌধুরী। তিনি সম্মাননার সঙ্গে পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকার চেক। তরুণ শ্রেণিতে ‘ঘুমিয়ে থাকা বাড়ি’ পাণ্ডুলিপির জন্য জেমকন তরুণ কবিতা পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব মাহমুদ। আর এই শ্রেণিতে ‘সোনার নাও পবনের বৈঠা’ উপন্যাসের জন্য তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন সাজিদুল ইসলাম। তরুণ এই দুই সাহিত্যিক পেয়েছেন এক লাখ টাকার চেক।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, একটি ভালো সাহিত্য একটি পর্যায়ে কবিতা হয়ে ওঠে; এটা আমার বিশ্বাস। আজকে পুরস্কার বিজয়ীদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। লিট ফেস্টের এই আয়োজনে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, জেমকন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আজকের কাগজ এবং কাগজ প্রকাশন ২০০০ সালে প্রথমবার তরুণ সৃজনশীল লেখকদের পাণ্ডুলিপি আহ্বান করে। সেই থেকে নির্বাচিত পাণ্ডুলিপিকে পুরস্কৃত করা হয়। ২০০৩ সালে প্রবর্তন করা হয় সাহিত্য পুরস্কার। বাংলা সাহিত্যের প্রতিভাবান লেখকদের পুরস্কৃত করতে পেরে জেমকন পরিবার আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
প্রতি বছর একটি শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ নির্বাচন করা ‘আসলে খুবই কঠিন’ উল্লেখ করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘এই কঠিনতম কাজটি আমাদের সম্মানিত জুরিদের মতামতের ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হয়। সাহিত্যের সঙ্গে আমাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। জেমকন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও নতুন নতুন লেখককে পাঠকের সামনে নিয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পুরস্কারপ্রাপ্তিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কবি কামাল চৌধুরী বলেন, আমি খুব আনন্দিত, জেমকন সাহিত্য পুরস্কারের মতো সম্মানজনক পুরস্কারে আমাকে ভূষিত করা হয়েছে। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই জেমকন গ্রুপকে, তারা সবসময় শিক্ষা, শিল্প সাহিত্যে সহযোগিতা করে আসছে। আমরা লিখি আমাদের ভালোবাসাকে জানানোর জন্য, বেঁচে থাকার জন্য।
সাজিদুল ইসলাম বলেন, যে পাণ্ডুলিপিটির জন্য আমি পুরস্কার পেয়েছি, সেখানে মহান কোনো ব্যাপার নেই। খুব তুচ্ছ বিষয়গুলো আমি তুলে আনার জন্য চেষ্টা করেছি। উপন্যাসটি পুরস্কারের জন্য লিখিনি, কিন্তু আমি পুরস্কার পেয়েছি। এটি আমার জন্য যেমন আনন্দের, আমাকে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্যও আনন্দের। আমি কমিটমেন্ট রাখছি আমি আমার পুরো জীবনটা শিল্পচর্চার জন্য উৎসর্গ করতে চাই বা করব। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জেমকন গ্রুপকে।