সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

কৃষি জমির মাটি বিক্রির ধুম : নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, হুমকিতে খাদ্য উৎপাদন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ) থেকে : মান্দা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে একশ্রেণির প্রভাবশালীরা বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির লোকদের সমন্বয়ে সিন্ডিকেট করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাটি বিক্রির ব্যবসা। কৃষি জমি কাটা ও টপ সয়েল ইটভাটায় বিক্রি করার ফলে হুমকি মুখে পড়েছে খাদ্য উৎপাদন।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির মাটি কাটা ও পুকুর খননের কাজ চলছে পুরোদমে। জমির টপ সয়েল নির্বিচারে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। আর এসব মাটি বহনের ফলে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য রাস্তাঘাটে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। পথচারিরা প্রতিনিয়ত ধুলোবালিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকের দাবি, এই দূরবস্থা থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। প্রতিদিন উপজেলার বুক চিরে মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করলেও কোনো বাধা নিষেধ নেই। দায়সারাভাবে বাধা নিষেধ বা ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করলেও বন্ধ হচ্ছে না কৃষি জমির মাটি কাটা। সেই সঙ্গে চলছে, জমিতে পুকুর খননের কাজ। শ্রেণি পরিবর্তন না করে কৃষি জমি খনন করে পুকুর তৈরি করে দিচ্ছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে মাটি কেটে ইট ভাটায় দিচ্ছেন।
সরজমিনে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান অবৈধভাবে খড়ি দিয়ে ভাটা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে ফসলি জমির মাটি কর্তন ও বহন করে গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক নষ্ট করে মাটি বহন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছেন। জানা গেছে, প্রসাদপুর ইউনিয়নের খুদিয়াডাঙ্গা এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক নষ্ট করছেন। তালপাতিলা এলাকায় ময়নুল নামে এক ব্যক্তি ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় দিচ্ছেন। বিষ্ণপুর ইউনিয়নের বটতলা থেকে কাজেম নামের এক ব্যক্তি মাটি কেটে ইট ভাটায় দিচ্ছেন। কুসুম্বা ইউনিয়নেও চলছে মাটি কাটার কাজ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার কাজ।
স্থানীয় ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল অচিরেই এসব মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, মাটি কাটা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোপূর্বে অনেক মাটি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। যারা এরকম কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়