সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

এশিয়া কাপে লঙ্কান ও আফগানদের পেল টাইগাররা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন বছর শুরুর দিকে এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই সেক্রেটারি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান জয় শাহ। সূচি অনুযায়ী ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ঠিক আগে সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। এশিয়ার শ্রেষ্ঠতের শিরোপার জন্য লড়াই করবে ৬টি দল।
এবার এই টুর্নামেন্টে কঠিন গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘এ’তে আছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাছাই পেরিয়ে আসা একটি দল। ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। বিভিন্ন দিক হিসেবে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ। গতবারের এশিয়া কাপে দুবার মুখোমুখি হওয়ার পর এবারো কমপক্ষে দুবার ভারত এবং পাকিস্তানের লড়াই হতে পারে। এছাড়া এশিয়া কাপের এই আসরটি কোথায় হবে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি।
গত এশিয়া কাপ হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে থাকায় তার সঙ্গে মিল রেখে ওই ফরম্যাটে করা হয়েছিল আসরটি। এবারের আসরটি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এর কারণ হলো ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ রয়েছে।
এদিকে সূচি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে মেন্স চ্যালেঞ্জার্স কাপ অনুষ্ঠিত হবে। মার্চে ৩৫ ওভারের ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ আঞ্চলিক এশিয়া কাপ আছে। এপ্রিলে এশিয়ার সহযোগী সদস্যদের নিয়ে ৫০ ওভারে মেন্স প্রিমিয়ার কাপ মাঠে গড়াবে। জুনে মেয়েদের টি-২০ ফরম্যাটে ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। জুনে ছেলেদের ৫০ ওভারের ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপ আছে। এরপর সেপ্টেম্বরে হবে ছেলেদের এশিয়া কাপ।
এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দ্বিপক্ষীয় সিরিজে? খেলা হয় না ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এই দুদলের খেলা দেখার জন্য এখন ভরসা শুধু এশিয়া কাপ এবং আইসিসির প্রতিযোগিতাই। গত বছর এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় রোহিত শর্মার দল। জিতলে ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারত দুদল। কিন্তু সুপার ফোরে পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারায় ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে শ্রীলঙ্কা। এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে ভারত। তারা এশিয়া কাপ জিতেছে সর্বোচ্চ ৭ বার। আর শ্রীলঙ্কা ৬ বার এবং পাকিস্তান ২ বার। এছাড়া এশিয়া কাপ হলো পুরুষদের একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি-২০আই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এটি চালু হয় ১৯৮৩ সালে যখন এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সুনাম প্রচার করার জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রথম টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে যেখানে কাউন্সিলের মূল অফিস ছিল ১৯৯৫ পর্যন্ত। ভারত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আন্তরিকতাহীন ক্রিকেট সম্পর্কের কারণে ১৯৮৬ সালের টুর্নামেন্ট বর্জন করে। ১৯৯৩ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এটি বাতিল হয়ে যায়। শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ শুরু থেকে অংশগ্রহণ করে আসছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নিয়ম করে দিয়েছে যে এশিয়া কাপের সব খেলা অনুষ্ঠিত হবে অফিশিয়াল একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হিসেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়