উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে থাকার ঘোষণা গণফোরামের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথের কর্মসূচিতে থাকার ঘোষণা দিয়েছে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। গতকাল সোমবার বিকালে যুগপৎ আন্দোলন সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ১১ জানুয়ারি যে অবস্থান কর্মসূচি আছে সেটা আমরা স্থান ঠিক করে গণমাধ্যমে জানিয়ে দেব। আজ থেকেই আমরা (গণফোরাম) এই চলমান আন্দোলনে শরিক হলাম। আগামী দিনে সমস্ত জাতিকে, দলমত নির্বিশেষ সবাইকে এই আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতারা গণফোরামের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্মধ মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। গণফোরামের সভাপতি মন্টুর নেতৃত্বে বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, আবদুল হাসিব চৌধুরী ও আইয়ুব ছিলেন। বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলন ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, গণফোরাম যুগপৎভাবে আন্দোলনের কর্মসূচিতে থাকবেন। আরো যারা দলে আছে এই সরকারের বিরুদ্ধে পরিবর্তন চায় এবং জনগণের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, ঐক্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আপনারা রাস্তায় আসুন। এই সরকারকে পরিবর্তন করে একটা নির্দলীয় সরকার এনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপিসহ গণতন্ত্রমঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গণমিছিল করলেও গণফোরামে সেই কর্মসূচি করেনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচি কেন গণফোরাম পালন করেনি- প্রশ্ন করা হলে মন্টু বলেন, হঠাৎ সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমাদের কয়েকজন নেতা অসুস্থ ছিলেন। আমরা যেসব কারণে সিদ্ধান্ত নেইনি। এটা কোনো বিষয় না, আমরা সমস্যাটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছি যে এই কর্মসূচিতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। কারণ আপনারা জেনে থাকবেন, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এজন্য আমাদের একটু দেরি হয়েছে।
যুগপৎ আন্দোলনকে কি আপনারা সরকার পতনের আন্দোলন বলে মনে করেন- জানতে চাইলে গণফোরাম সভাপতি বলেন, অবশ্যই। যে আন্দোলনটা হচ্ছে, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং এই নির্বাচনটা পরিচালনা করার জন্য একটা নির্দলীয় সরকারের প্রয়োজন আছে। আমরা দেখেছি মাগুরার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছে এবং তাদের যুবলীগের এক নেতা সেদিন শহীদ হয়েছে। তারা কিন্তু সেদিন আন্দোলন করে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেছে। তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেরা সংসদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। খালেদা জিয়াকে এবং বিএনপি সরকারকে বাধ্য করেছে একটা অন্য নির্বাচন করে সেটাকে সংশোধন করে পাস করানোর জন্য। তাদের নিজেদের স্বার্থে যদি এগুলো করতে পারেন তাহলে জনগণের স্বার্থে কেন করতে পারবেন না। তারাও তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এসেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের যে রায় হয়েছিল সেখানে তো বলা হয়েছিল- আরো দুবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে। তাহলে বাধাটা কোথায়, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়