উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

নরসিংদী : আনসার সদস্যদের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর বড় বাজারে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে লুণ্ঠণকৃত দুটি শর্টগান ও ২ রাউন্ড গুলি ৬ দিনের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রাঙ্গণ চত্বরে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর বড় বাজার বণিক সমিতির আনসার ক্যাম্প থেকে প্রতিদিনের ন্যায় ৪ জন আনসার সদস্য তাদের নামে ইস্যুকৃত ৪টি শর্টগান ও ২০ রাউন্ড গুলি নিয়ে বাজারের নিরাপত্তাকাজে নিয়োজিত ছিল। রাত দেড়টার দিকে পিয়াজপট্টির কাছে পৌঁছলে ১৭/১৮ জন দুস্কৃতিকারী বিভিন্ন আগ্নেয়ান্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুই আনসার সদস্যের কাছ থেকে দুটি শর্টগান ও ১০ রাউন্ড গুলি নিয়ে আনসার সদস্যদের দুই হাত পেছনে বেঁধে রেখে বেড়িবাঁধ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নরসিংদী সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা লুৎফর নাহার লতিফা বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর পরই পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী এবং ওসি গোয়েন্দা শাখা মো. আবুল বাশার পিপিএম বার এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন।
উল্লেখ্য, ডাকাতরা আনসার সদস্যদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি ডাকাত মিজানের মামার বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। ধৃত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো ডাকাত মিজানের মামার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
ধৃত ডাকাতরা হলো- মুন্সীগঞ্জ জেলার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান, শরীয়তপুর জেলার সিরাজ খলিফার ছেলে মো. দেলোয়ার খলিফা, একই জেলার সিরাজ খলিফার ছেলে মতি খলিফা ও নূরউদ্দিন মোড়লের স্ত্রী মোসা. আলেয়া বেগম, মাদারীপুর জেলার ফজলু হাওলাদারের ছেলে মো. কালু হাওলাদার ও তার ভাই ফরিদ হাওলাদার, একই জেলার আব্দুর রউফ খাঁর ছেলে মো. ফারুক খাঁ, বাগেরহাট জেলার শেখ আব্দুল মালেকের ছেলে শেখ আল মামুন ও শেখ মহিউদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অহিদ মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়