রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

সর্বকালের সেরা ছিলেন পেলে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুই মহাতারকা ছিলেন ব্রাজিলের পেলে এবং আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা। এর মধ্যে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর ডিয়াগো ম্যারাডোনা চিরবিদায় নিয়েছেন ২০২০ সালে দুই বছর আগে। আর ২৯ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফুটবলের ‘কালো মানিক’ খ্যাত পেলে।
এই দুই কিংবদন্তি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে বিদায় নিলেও তাদের মধ্যে সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, ভক্ত সমর্থকদের মাঝে এই নিয়ে বিতর্ক এখনো শেষ হয়নি। কথার লড়াইয়ে এখনো লিপ্ত হন অনেক ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু বাস্তবে পেলে ও ম্যারাডোনা নিজেদের মধ্যে তুলনা করতে পছন্দও করতেন না। বরং একসঙ্গে তাদের বিভিন্ন সময় আনন্দে সময় কাটাতে দেখা গেছে। এই দুই কিংবদন্তির সম্পর্ক ছিল সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে ভালো বন্ধুর মতো।
ফুটবল ক্যারিয়ারের খেলোয়াড়ি দিনগুলোতে মাঠ ও মাঠের বাইরের নানান বিতর্কের সঙ্গী হয়েছিল ম্যারাডোনা। কিন্তু সেসব বিতর্ক ব্রাজিলিয়ান আইকন পেলের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতানো এই ফরোয়ার্ডের। লাতিন আমেরিকার চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই দেশের কিংবদন্তিরা একে অন্যকে বিশেষ শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখতেন। সেই ম্যারাডোনাও স্বীকার করেছেন যে, ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
মৃত্যুর কয়েক বছর আগে এক টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে পেলের সঙ্গে নিজের তুলনা প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি এমন কথা জানিয়েছিলেন। ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘না, না, ম্যারাডোনা ম্যারাডোনাই। পেলে সেরাদের সেরা।
আমি শুধুই একজন সাধারণ খেলোয়াড়। আমি পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই না। সবাই জানে তিনি সর্বকালের সেরা।’ পেলে এবং ম্যারাডোনা কখনই একে অপরের বিপক্ষে খেলেননি। কারণ, ম্যারাডোনার ক্যারিয়ার যখন শুরু, পেলে তখন সাবেকদের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে নিউইয়র্ক কসমসের জার্সিতে পেলের ফুটবলকে বিদায় জানানোর ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার পর জার্সিতে খেলা শুরু করেন।
ব্রাজিলকে ১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জেতান পেলে। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতান এই নায়ক। তিনিই একমাত্র ফুটবলার, যার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে তিনটি বিশ্বকাপের ট্রফি। অন্যদিকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা উপহার দিতে পেরেছেন কেবল ১টি বিশ্বকাপের স্বাদ। তবে ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হারতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে।
জাতীয় দল এবং ক্লাবের জার্সিতে সমান ১৪টি করে শিরোপা জিতেছেন পেলে এবং ম্যারাডোনা। তবে দেশের জার্সিতে গোলের দিক দিয়ে ম্যারাডোনা অবশ্য পেলের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯০ ম্যাচে ৭৭ গোল পেলের। তবে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ৩৪টি গোল করেন ম্যারাডোনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়