ঢাবিতে পর্দা নামল নন-ফিকশন বইমেলার

আগের সংবাদ

কালো মানিকের জন্য শোকার্ত বিশ্ব

পরের সংবাদ

যুদ্ধশিশুদের স্বীকৃতির দাবি নারীপক্ষের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাকে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ অভিভাবক এবং প্রতিপাল্য আইন ১৮৯০-এর ১৭ (ক) ধারা সংশোধন করে ৭১ এর য্দ্ধুশিশুদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ। এই সংগঠনের নেতারা বলেছেন, যুদ্ধশিশুদের সন্তানদের এখনো সমাজ অনাহূত মনে করে। তাদের মায়েদের পরিত্যাগ করে পরিবার ও সমাজ। রাষ্ট্রীয় আইনে তাদের মর্যাদা দেয়নি। তাই তাদের আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়ার দাবি তোলেন তারা।
‘যুদ্ধ সন্তান আমাদেরই সন্তান’ ব্যানারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দাবি তোলা হয়। রাজধানীর সংগঠনের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারীপক্ষ। সূচনা বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়কারী নূরে মাকসুরাত সেঁজুতি বলেন, যুদ্ধশিশুরা সমাজে এখনো অবহেলিত। অনেকেই জানে না তাদের মা কে। এক যুদ্ধশিশু তার মাকে না পেয়ে আমাকে বলেছিল, আমি জানি না আমার মা কে! তাই সব বীরাঙ্গনাই আমার মা। বাবার পরিচয় না থাকায় বিভিন্ন সময় সংকেট পড়তে হয়েছে অনেককে। যুদ্ধশিশুদের নিগ্রহ মোচনে একটি পদক্ষেপ নিতে চাই। তাই দেশের আইন সংশোধন করা জরুরি।
অভিভাকত্ব আইন ও নাগিরকত্ব আইনের সংশোধনের দাবি জানিয়ে আরেক সদস্য হাবিবুন্নেসা বলেন, এ আইনগুলো মায়েদের পক্ষের নয়। যুদ্ধশিশুদের জারজ সন্তান বলা হয়, যার ইংরেজি বাস্টার্ড। এমন একটা শব্দ আইনে থাকা উচিত না। শুধুমাত্র যুদ্ধিশশু না, যৌনপল্লিতে জন্ম নেয়া শিশুরাও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নারী কখনো তার সন্তানের পরিচয় দিতে পারে না বাংলাদেশি হিসেবে। নারীর অভিভাকত্ব পেতে হলে কোর্টে যেতে হবে। এখানে পুরুষ অভিভাবক হলেও নারী জিম্মাদার হিসেবে কাজ করে। একজন মায়ের জন্য ‘জিম্মাদার’ শব্দটি সত্যিই অপমানের। বিবাহবিচ্ছেদের পর আদালত অভিভাবকত্ব দেন না, দেন জিম্মাদারি।
যদি মায়ের নামে সন্তানের পরিচয়ের আইন করা হয় তখন এ জটিলতা থাকবে না জানিয়ে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শিরীন হক বলেন, যুদ্ধিশশুদের বাবার নাম মিথ্যা দেয়া হয় অথবা বলা হয় মৃত। সেক্ষেত্রে মৃত বাবার নাম লিখতে হয়। এটা তো মিথ্যা। মিথ্যা দিয়ে তো রাষ্ট্র চলতে পারে না।
এছাড়া বক্তব্য দেন নারীপক্ষের সদস্য আলী হোসেন, সীমাদাস সীমু, বাংলাদেশ দুর্বার নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহমুদা খাতুন, নারীবাদ প্রবর্তনার সাধারণ সম্পাদক সাইদা আক্তার প্রমুখ। সভায় সহযেগী সংগঠন হিসেবে ছিল ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নারীবাদ প্রবর্তনা, দুর্বার নেটওয়ার্ক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়